একজন সফল উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী সুফি মিজান সম্পর্কে জানুন

একজন সফল উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী সুফি মিজান

সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান( সুফি মিজান) 1943 সালের 12 ই মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন কাঞ্চন গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। জন্মের সময় এটা কেউ অনুমান করতে পারেন নাই যে একদিন তিনি বাংলাদেশের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হবেন এবং পিএইচপি ফ্যামিলি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যবসায় একজন অন্যান্য ব্যক্তিতে পরিণত হবেন।
সফল-উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ী-সুফি-মিজান
ছোটবেলায় সুফি মিজান মাকে হারান| বাবার কঠিন অনুশাসনে তিনি বড় হয়েছেন। প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত বাবার হাত ধরে স্কুলে গিয়েছেন। স্কুল জীবন মোটামুটি শেষ হলেও কলেজ জীবন আর 10 জনের মতো আড্ডাবাজির সুযোগ পেতেন না। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে চাকরী শুরু করেন। সারা জীবন কঠোর পরিশ্রম করতেন সন্ধ্যার পর নাইট কলেজে গিয়ে বসতেন। 

রাত 11 টা পর্যন্ত ক্লাস করতেন। সবশেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন| সুফি মিজান জন্ম থেকে শান্ত ও বিনয়ী স্বভাবের ছিলেন। সুফি মিজান 1965 সালে প্রথম ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান( বর্তমানে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড) এ চাকুরী নিয়ে চট্টগ্রামে যান। দুই বছর সেখানে কাটানোর পর আরেকটি ব্যাংকে যোগদান করেন। 

তবে স্বাধীনতার কিছুদিন পর চাকরি ছেড়ে দিলেন এবং চাকুরীর জমানো 1483 টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। সুফি মিজান ছিলেন অত্যন্ত বিচক্ষণ ও সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি। স্বাধীনতার পর অনেক ব্যবসায় নিজেদের ব্যবসার ছেড়ে নিজ দেশ অর্থাৎ পাকিস্তান চলে যান। তাতে ব্যবসা একটা শূন্যতা তৈরি হয়। 

এই শূন্য তাকে কাজে লাগিয়ে ও ব্যাংকে চাকরি করার সুবাদে বিশেষ করে এক্সপোর্ট অর ইমপোর্ট ব্যবসা মাধ্যমিক ব্যবসায়িক জীবন শুরু করেন। এইচপি এবি এরাবিয়ান হর্স ঢেউটিন, পিএইচপি ফ্রড গ্যাস, পেট্রোলিয়া, টেক্সটাই, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি। সুফি মিজান একজন কীর্তিমান পুরুষ ছিলেন। তিনি যা কিছু বলতে চেয়েছেন তাই সফলতার সাথে করেছেন। 

তিনি যা কিছু করেছেন সে তা উৎকৃষ্ট ভাবে করেছেন। সফলতা ও নিষ্ঠার সাথে কোন কাজ করায় তার নেশা। মিজান একজন মিষ্টিভাষী মানুষ। তিনি বাংলা ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি উর্দু ও আরবি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। তিনি সুর করে বিভিন্ন ভাষায় সংগীত পরিবেশন করতে পারেন। তার সুন্দর বাচনভঙ্গি সবাইকে আকর্ষণ করে। 

এ বৈশিষ্ট্যগুলি তাকে ব্যবসায়িক সফলতা অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যায়। সুফি মিজান অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। তিনি সময়ের অপচয় করেন না। তার দৃষ্টিভঙ্গি সুদূর প্রসারি ছিল। এই দূরদর্শী তার ফলে তিনি জমানো টাকার ব্যবসা শুরু করেছিলাম। তিনি সবসময় ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতেন এবং এ কারণে তিনি উচ্চাকাঙ্খী ছিলেন। 

 সুফি মিজান অধ্যাবসায়, দক্ষতা শক্তি ও দূরদর্শিতায় ব্যবসায় সফলতা এনে দেই। তিনি একের পর এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। তিনি শিক্ষাক্ষেত্রেও অন্যান্য অবদান রাখেন। তিনি অত্যন্ত সুদক্ষ প্রশাসক। সিদ্ধান্ত গ্রহণে তার বিচক্ষণতা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তার নেতৃত্বে পিএইচপি ফ্যামিলিতে বর্তমানে 40000 জন মানুষ কাজ করছেন এবং বছরে প্রায় 500 কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। 

 সুফি মিজান মানুষের স্বাস্থ্যের সেবা প্রদানের জন্য পিএইচপি হেলথ কেয়ার প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। এভাবে তিনি নিজের পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন একের পর এক প্রতিষ্ঠান অবদান রেখেছে দেশের অর্থনীতিতে। সুফি মিজান বিশ্বাস করেন মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ থাকলে সততা থাকলে শিল্পায়নের দেশকে এগিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না। 

এই মন্ত্রে তিনি এগিয়ে চলেছেন। হ্যালো ফ্রেন্ড সুফি মিজানের গল্পটি যদি আপনাদের ভালো লাগে, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে, হয়তোবা তার এই গল্পটি আপনাদের ব্যবসাকে এগিয়ে না যাবে অনেক দূর যা দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ভালো মানের বিজনেস ক্রাইটেরিয়া সৃষ্টি করবে। এরকম সকল বিজনেস ক্রাইটেরিয়া, ব্যবসা সম্পর্কে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে আমাদের পেজটিতে লিংক দিয়ে সাথে থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরজে লতিফ ডিএম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url