ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায়

ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় কি? কিভাবে আপনি হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ব্লগারে ইনকাম শুরু করবেন, তার সকল স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা থাকছে এই আটিকেলে। শেষ পর্যন্ত পড়ুন আপনার ওনলাইন ইনকামে অনেক কাজে লাগবে।
ব্লগিং-থেকে-টাকা-ইনকামের-সহজ-উপায়

ব্লগিং আজকের সময়ে শুধু একটি শখ নয়, এটি একটি জনপ্রিয় উপায়ে পরিণত হয়েছে যার মাধ্যমে অনেকেই তাদের জ্ঞান শেয়ার করে এবং আয় করে। আপনার পছন্দের বিষয়ে লিখে আপনিও এই সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারেন। শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায়

ব্লগিং কি?

ব্লগিং হলো এক ধরনের অনলাইন ডায়েরি বা ব্যক্তিগত পত্রিকা। এটি একটি ওয়েবসাইট, যেখানে একজন ব্যক্তি বা একদল ব্যক্তি নিজেদের মতামত, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে লেখালিখি করে। এই লেখাগুলোকে সাধারণত পোস্ট বলা হয়। ব্লগাররা নিয়মিতভাবে তাদের ব্লগে নতুন পোস্ট যোগ করে থাকেন।

সহজ কথায়, ব্লগ হলো আপনার নিজস্ব ছোট্ট অনলাইন জগৎ, যেখানে আপনি আপনার মনের কথা বলতে পারেন।ব্লগিং আপনাকে নিজের মতো করে লেখার স্বাধীনতা দেয়। আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ করার একটি চমৎকার মাধ্যম। অন্যদের সাথে যোগাযোগ করার এবং তাদের মতামত জানার একটি উপায়।ব্লগিং থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব।

নিজের জীবন, অভিজ্ঞতা, মতামত নিয়ে লেখা।কোনো নির্দিষ্ট বিষয়, যেমন রাজনীতি, সমাজ, পরিবেশ ইত্যাদি নিয়ে লেখা। কোনো পণ্য বা সেবা প্রচারের জন্য লেখা।ফ্যাশন সম্পর্কিত লেখা। খাবার সম্পর্কিত লেখা।আরো অনেক ধরনের ব্লগ আছে। আপনার কোন বিষয়ে আগ্রহ আছে, সেই বিষয়ে ব্লগ শুরু করুন।ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্লগ তৈরি করতে পারেন।

 ব্লগ একাউন্ট কিভাবে তৈরি করবেন

ব্লগ তৈরি করা এখন আর কোনো জটিল কাজ নয়। আপনি চাইলেই খুব সহজে নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে আপনার মনের কথা, জ্ঞান বা অন্য কোনো বিষয় শেয়ার করতে পারেন।আপনি কী ধরনের বিষয়ে লেখা পছন্দ করেন? আপনার কোন বিষয়ে জ্ঞান রয়েছে? এই বিষয়গুলো ভেবে আপনার ব্লগের জন্য একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ নির্বাচন করুন।

আপনার ব্লগের নাম যেন স্মরণীয় এবং আপনার ব্লগের বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত হয়। আপনার ব্লগের জন্য একটি ডোমেইন নাম বাছাই করুন। ডোমেইন নাম হলো আপনার ব্লগের ওয়েব অ্যাড্রেস।ব্লগ তৈরির জন্য অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার। আপনি যে প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করেছেন, সেই প্ল্যাটফর্মের নির্দেশনা অনুসারে আপনার ব্লগ সাইট তৈরি করুন। 

আরও পড়ুনঃ Adsterra থেকে সহজে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন

আপনার পছন্দমতো থিম, রং এবং ফন্ট ব্যবহার করে আপনার ব্লগকে কাস্টমাইজ করুন। আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনে সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য SEO সেটআপ করুন।নিয়মিত ভালো মানের পোস্ট লিখুন এবং আপনার ব্লগকে আপডেট রাখুন।আপনার ব্লগের লিংক সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আপনার ব্লগকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিন। 

কি এবং এটা ব্লগিং এর সাথে কিভাবে সম্পর্কিত

SEO মানে হলো Search Engine Optimization। বাংলায় বলতে গেলে, এটাকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সহজ কথায়, এটা হলো এমন একটা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনে (যেমন গুগল, বিন ইত্যাদি) সর্বোচ্চ স্থানে দেখানোর চেষ্টা করেন। যখন আপনার ব্লগ সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় দেখা যাবে, তখন অনেক বেশি মানুষ আপনার ব্লগে আসবে।

ব্র্যান্ডিংঃ সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‌্যাঙ্কিং আপনার ব্র্যান্ডকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে।SEO আপনার ব্লগে ফ্রি ট্রাফিক আনতে সাহায্য করে। বেশি ভিজিটর মানে হলো বেশি আয়ের সম্ভাবনা।ব্লগিং এবং SEO একে অপরের পরিপূরক। যখন আপনি একটি ব্লগ তৈরি করেন, আপনি চান যে অনেকে আপনার লেখা পড়ুক। SEO আপনাকে এই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করে।

আপনি যদি আপনার ব্লগে SEO এর নিয়ম মেনে লেখালিখি করেন, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগকে বেশি গুরুত্ব দিবে এবং অন্যদেরকে আপনার ব্লগ দেখাতে সাহায্য করবে।আপনার নিশ নির্বাচন করে তার উপর ভিত্তি করে কীওয়ার্ড খুঁজে বের করুন। আপনার নির্বাচিত কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করে মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করুন।টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডিস্ক্রিপশন, হেডিং ট্যাগ, ইমেজ অপটিমাইজেশন ইত্যাদি। ব্যাকলিং, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং ইত্যাদি।

 ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায়

ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায়: একটি বিস্তারিত নির্দেশিকাব্লগিং শুধু একটি শখ নয়, এটি আজকের সময়ে একটি জনপ্রিয় পেশা হয়ে উঠেছে। নিজের আগ্রহের বিষয়ে লিখে এবং আপনার জ্ঞান শেয়ার করে আপনি ব্লগিং থেকে ভালোই আয় করতে পারেন।আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আপনি প্রতি ক্লিক বা প্রতি ইমপ্রেশনের জন্য টাকা পাবেন।

স্পনসর্ড পোস্টঃকিভাবে কাজ করে: কোম্পানিগুলি আপনাকে তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে লেখার জন্য টাকা দেবে।সুবিধা: একক পোস্ট থেকে ভালো আয় হতে পারে।কিভাবে শুরু করবেন: আপনার ব্লগের ট্রাফিক এবং বিষয়বস্তু দেখে কোম্পানিগুলি নিজে থেকেই আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ডিজিটাল পণ্য বিক্রয়ঃকিভাবে কাজ করে: আপনি নিজে ইবুক, কোর্স, বা অন্যান্য ডিজিটাল পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
ব্লগিং-থেকে-টাকা-ইনকামের-সহজ-উপায়

সুবিধাঃ আপনার নিজস্ব পণ্য থাকলে আপনি পুরো আয় নিজে পাবেন।কিভাবে শুরু করবেন: আপনার জ্ঞান ও দক্ষতার ক্ষেত্রে কোনো ডিজিটাল পণ্য তৈরি করুন এবং আপনার ব্লগে বা অন্য প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করুন।সাবস্ক্রিপশনঃকিভাবে কাজ করে: আপনি আপনার ব্লগের বিশেষ কনটেন্টের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফি নিতে পারেন।সুবিধা: নিয়মিত আয়ের একটি উৎস হতে পারে।

কিভাবে শুরু করবেনঃ আপনার ব্লগে এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট তৈরি করুন এবং সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ তৈরি করুন। কোচিং বা কনসাল্টিংঃকিভাবে কাজ করে: আপনার বিষয়ে দক্ষতা থাকলে আপনি অন্যদেরকে কোচিং বা কনসাল্টিং সার্ভিস দিতে পারেন।উপরোক্ত ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় আপনি বুঝতে পারলে ইনকামে অনেক কাজে লাগবে।

 ব্লগিং গুগল অ্যাডসেন্স

গুগল অ্যাডসেন্স হল গুগলের একটি প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারেন। এই বিজ্ঞাপনগুলি সাধারণত আপনার সাইটের কন্টেন্টের সাথে সম্পর্কিত হয়, যা ব্যবহারকারীদের জন্য আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলে।আয়ের একটি উৎসঃ ব্লগিং আপনার শখ হতে পারে, কিন্তু অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আপনি এটাকে একটি আয়ের উৎসে পরিণত করতে পারেন।

সহজ ব্যবহারঃ অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা খুব সহজ। আপনাকে শুধু আপনার সাইটে একটি কোড পেস্ট করতে হবে এবং গুগল আপনার জন্য বিজ্ঞাপনগুলি পরিচালনা করবে।বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনঃ অ্যাডসেন্স বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন অফার করে, যেমন টেক্সট বিজ্ঞাপন, ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন এবং ভিডিও বিজ্ঞাপন।উচ্চমানের বিজ্ঞাপনঃ গুগল তার বিজ্ঞাপনগুলির মান নিয়ে খুব সচেতন। তাই আপনার সাইটে কেবল উচ্চমানের বিজ্ঞাপনই দেখানো হবে।

ব্লগিং এবং গুগল অ্যাডসেন্স: কীভাবে শুরু করবেনঃএকটি ব্লগ তৈরি করুনঃ আপনার যদি ইতিমধ্যে কোনো ব্লগ না থাকে, তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন।উচ্চমানের কন্টেন্ট তৈরি করুনঃ গুগল অ্যাডসেন্সে সফল হতে হলে আপনাকে নিয়মিত এবং উচ্চমানের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।

গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করুনঃ আপনার ব্লগ যখন যথেষ্ট পরিমাণ কন্টেন্ট ধারণ করবে, তখন আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন।বিজ্ঞাপন কোড পেস্ট করুনঃ আপনার আবেদন অনুমোদিত হলে, গুগল আপনাকে একটি বিজ্ঞাপন কোড দেবে। এই কোডটি আপনার ব্লগের যেখানে বিজ্ঞাপন দেখাতে চান সেখানে পেস্ট করুন।আপনার আয় পর্যবেক্ষণ করুনঃ আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে আপনি আপনার আয় পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

 ব্লগারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

ব্লগারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্য কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করা এবং যখন কেউ আপনার প্রচারিত লিঙ্কের মাধ্যমে কেনাকাটা করে, তখন আপনি একটি কমিশন পাওয়া। এই কমিশন সাধারণত বিক্রয়ের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হয়।একটি নির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন করুনঃ আপনার ব্লগের একটি নির্দিষ্ট বিষয় থাকা উচিত যাতে আপনি তার সাথে সম্পর্কিত পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করতে পারেন।

একটি অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক বা প্রোগ্রামে যোগ দিনঃ Amazon Associates, Commission Junction, এবং ShareASale এর মতো নেটওয়ার্কগুলি আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলিতে যোগদান করতে সাহায্য করতে পারে।উচ্চমানের কন্টেন্ট তৈরি করুনঃ আপনার ব্লগে নিয়মিত এবং উচ্চমানের কন্টেন্ট প্রকাশ করুন যা আপনার দর্শকদের জন্য মূল্যবান।আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলি স্বাভাবিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করুনঃ আপনার লিঙ্কগুলি বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করবেন না।

পরিবর্তে, আপনার কন্টেন্টের মধ্যে তাদের স্বাভাবিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করুন।আপনার দর্শকদের সাথে যোগাযোগ রাখুনঃ আপনার দর্শকদের সাথে ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া বা কমেন্টের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন।আপনার ফলাফল ট্র্যাক করুনঃ আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের ফলাফল ট্র্যাক করুন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করুন।প্রাসঙ্গিক পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করুনঃ আপনার ব্লগের বিষয়বস্তুর সাথে মিলে যাওয়া পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করুন।সৎ হোনঃ আপনি যে পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করছেন তার প্রতি আন্তরিক হোন।

আরও পড়ুনঃ অনলাইন অর্থ উপার্জন করার সহজ পদ্ধতি

আপনার দর্শকদের চাহিদা বুঝুনঃ আপনার দর্শকরা কী চান তা বুঝুন এবং তারা যে পণ্যগুলি কিনতে আগ্রহী হতে পারে সেগুলি প্রচার করুন।বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করুনঃ ব্লগ পোস্টের পাশাপাশি ভিডিও, পডকাস্ট এবং ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করুন।সামাজিক প্রমাণ ব্যবহার করুনঃ অন্যদের কাছ থেকে পণ্য বা পরিষেবার পর্যালোচনা এবং সুপারিশগুলি শেয়ার করুন।ফুল ডিসক্লোজারঃ সবসময় আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলির কথা উল্লেখ করুন।

গুণমানের উপর জোর দিনঃ পরিমাণের চেয়ে গুণমান বেশি গুরুত্বপূর্ণ।ধৈর্য ধরুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে রাতারাতি আয় করা সম্ভব নয়।প্যাসিভ আয়ঃ একবার আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক পোস্ট করে দিলে, তা থেকে আপনি দীর্ঘদিন ধরে আয় করতে পারেন।কম খরচে শুরু করা যায়ঃ ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনাকে অনেক বড় বিনিয়োগ করতে হবে না।স্বাধীনতাঃ আপনি আপনার নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। 

 ব্লগারে ডিজিটাল পণ্য বিক্রয়

ব্লগিং আজকাল শুধুমাত্র লেখার একটি মাধ্যম নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ ব্যবসায় হয়ে উঠেছে। আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ব্লগকে আরও লাভজনক করার জন্য ডিজিটাল পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। এটি আপনাকে একটি নিষ্ক্রিয় আয়ের উৎস সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে।আপনার লক্ষ্য দর্শককে চিনুনঃআপনার ব্লগে কারা আসে?তাদের কী কী প্রয়োজন?তারা কী কিনতে আগ্রহী হতে পারে?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করে আপনি তাদের জন্য উপযোগী ডিজিটাল পণ্য তৈরি করতে পারবেন।ডিজিটাল পণ্য নির্বাচন করুনঃই-বুকঃ আপনার ব্লগের বিষয়বস্তুকে ভিত্তি করে একটি ই-বুক তৈরি করুন।অনলাইন কোর্সঃ আপনার জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে একটি অনলাইন কোর্স তৈরি করুন।টেমপ্লেটঃ যদি আপনি গ্রাফিক ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপার হন, তাহলে আপনি টেমপ্লেট বিক্রি করতে পারেন।

ব্লগিং-থেকে-টাকা-ইনকামের-সহজ-উপায়

প্রিমিয়াম কনটেন্টঃ আপনার ব্লগের সেরা কনটেন্টগুলোকে একটি প্যাকেজে করে বিক্রি করুন।পণ্য তৈরি করুনউচ্চমানের কনটেন্ট তৈরি করুনঃ আপনার পণ্যের মান যত ভাল হবে, তত বেশি লোক এটি কিনতে আগ্রহী হবে।আকর্ষণীয় কভার ডিজাইন করুনঃ একটি আকর্ষণীয় কভার ডিজাইন আপনার পণ্যকে বিক্রি করতে সাহায্য করবে।পণ্য বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুনওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিনঃ Easy Digital Downloads, WooCommerce ইত্যাদি প্লাগিন ব্যবহার করে।

আপনি সহজেই আপনার ব্লগে পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন।থার্ড-পার্টি মার্কেটপ্লেসঃ Etsy, Gumroad ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারেন।আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটঃ যদি আপনি একটি পেশাদার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, তাহলে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রয় করতে পারেন।মার্কেটিং করুনঃ সোশ্যাল মিডিয়াঃ আপনার পণ্য সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করুন।

ইমেইল মার্কেটিংঃ আপনার সাবস্ক্রাইবারদের কাছে ইমেইল করে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানান।ব্লগ পোস্টঃ আপনার ব্লগে পণ্য রিভিউ বা টিউটোরিয়াল লিখুন।গ্রাহক সেবা প্রদান করুনপ্রশ্নের উত্তর দিনঃ গ্রাহকদের প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দিন।সমস্যা সমাধান করুনঃ যদি কোন গ্রাহকের কোন সমস্যা হয়, তাহলে তা দ্রুত সমাধান করুন।

 ব্লগারেকোচিং বা কনসাল্টিং করে ইনকাম

আপনি যদি ব্লগিং সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন এবং আপনার জ্ঞান অন্যদের সাথে শেয়ার করতে চান, তাহলে ব্লগার কোচিং বা কনসাল্টিং একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে। এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার প্যাশনকে কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারবেন।আপনার দক্ষতা নির্ধারণ করুনআপনি কোন বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন?আপনার কোন কোন দক্ষতা আছে যা অন্য ব্লগারদের সাহায্য করতে পারে?

আপনি কোন ধরনের ব্লগারদের সাথে কাজ করতে চান?আপনার পরিষেবা নির্ধারণ করুনঃআপনি কোন ধরনের পরিষেবা দেবেন? (উদাহরণস্বরূপ, এক-এক কথোপকথন, গ্রুপ কোর্স, ইমেইল কোচিং)আপনার পরিষেবার মূল্য কত হবে? আপনি কী ধরনের ফলাফল প্রদান করবেন?আপনার লক্ষ্য দর্শককে চিনতে শিখুনআপনার লক্ষ্য দর্শক কারা?

তারা কোন সমস্যার সমাধান খুঁজছে? আপনি তাদের কীভাবে সাহায্য করতে পারবেন?আপনার ব্র্যান্ড তৈরি করুনএকটি আকর্ষণীয় নাম এবং লোগো চয়ন করুন।একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন।সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি উপস্থিতি তৈরি করুন।আপনার পরিষেবা মার্কেটিং করুনআপনার পরিষেবা সম্পর্কে অন্যদের জানান।সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, এবং নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে আপনার পরিষেবা প্রচার করুন।

আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের জন্য লাভজনক ৮টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

অন্যান্য ব্লগারদের সাথে পার্টনারশিপ করুন। ব্লগার কোচিং বা কনসাল্টিং থেকে ইনকাম করার উপায়এক-এক কথোপকথনঃ আপনি ব্লগারদের সাথে এক-এক কথোপকথনের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারেন।গ্রুপ কোর্সঃ আপনি একসাথে অনেক ব্লগারকে শেখানোর জন্য গ্রুপ কোর্স পরিচালনা করতে পারেন।ইমেইল কোচিংঃ আপনি ব্লগারদের সাথে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের গাইড করতে পারেন।

ডিজিটাল পণ্যঃ আপনি ইবুক, কোর্স, বা ওয়েবিনারের মতো ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করতে পারেন।মেম্বারশিপ সাইটঃ আপনি একটি মেম্বারশিপ সাইট তৈরি করে নিয়মিতভাবে আপনার সদস্যদের নতুন কন্টেন্ট এবং সমর্থন প্রদান করতে পারেন।সফল ব্লগার কোচ হওয়ার জন্য কিছু টিপসনিয়মিতভাবে আপনার জ্ঞান আপডেট করুনঃ ব্লগিং একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল শিল্প।

তাই আপনাকে নিয়মিতভাবে নতুন কৌশল এবং ট্রেন্ড সম্পর্কে জানতে হবে।আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুনঃ আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুললে তারা আপনাকে অন্যদের কাছে রেফার করবে।ধৈর্য ধরুনঃ ব্লগার কোচিং বা কনসাল্টিং একটি ব্যবসা গড়ে তুলতে সময় লাগতে পারে। তাই ধৈর্য ধরে কাজ করুন।।

 শেষ কথা 

ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায় গুলো কি আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এসকল বিষয় যদি আপনি ঠিক মত বুঝতে পারেন তাহলে আপনিও ব্লগিং থেকে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এছাড়াও ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের এরো টিপস রয়েছে যা আটিকালে লিখা সম্ভব নয়।

ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের এরো টিপস পেতে পেজটি সাইন আপ করে পাশে থাকুন। লিখাটি আপনার কাজে আসলে আন্যদের শেয়ার করুন। আপনার মতামত কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, আপনার ইনকাম শুভ হোক। এই কামনায়,

বিঃদ্রঃ ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আরজে লতিফ ডিএম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url