নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ - নওগাঁ জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
পেজ সূচিঃ নওগাঁ জেলা দর্শনীয় স্থান সমূহ
- নওগাঁ জেলার থানা সংখ্যা কয়টি
- নওগাঁ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
- নওগাঁ জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থান
- নওগাঁ জেলা দর্শনীয় স্থান সমূহ
- নওগাঁ জেলা পার্ক সমূহ
- নওগাঁ জেলা বিখ্যাত খাবার
- নওগাঁ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা
- নওগাঁ জেলা নদী কি কি?
- নওগাঁ জেলার গ্রাম -জনসংখ্যা-ইউনিয়ন
- শেষ কথা
নওগাঁ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
নওগাঁ জেলা বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এই জেলাটি তার সমৃদ্ধ ইতিহাস, সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং কৃষিজাত পণ্যের জন্য বিখ্যাত। তাল গাছের সম্রাজ্যঃ নওগাঁ জেলাকে তাল গাছের সম্রাজ্য বলা হয়। এখানে হাজার হাজার তাল গাছ রয়েছে এবং তাল গাছের রাস্তা দেখতে পাওয়া যায়।
ঐতিহাসিক স্থাপনাঃ জেলায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে, যেমন জমিদার বাড়ি, মন্দির, মসজিদ ইত্যাদি।কৃষিজাত পণ্যঃ নওগাঁ জেলা কৃষিপ্রধান। এখানে ধান, পাট, আখ ইত্যাদি ফসল উৎপাদিত হয়।জবাই বিল: জবাই বিল নওগাঁ জেলার একটি বিখ্যাত মৎস্য চাষের কেন্দ্র।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঃ জেলায় নদী, বিল, জঙ্গল ইত্যাদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে।
খাবারঃ নওগাঁর খাবারের জন্যও এটি বিখ্যাত। এখানকার মিষ্টি, পিঠা এবং অন্যান্য খাবার সারা দেশে খ্যাতিমান।লোকসংস্কৃতিঃ নওগাঁর লোকসংস্কৃতিও খুব সমৃদ্ধ। এখানে নানা ধরনের লোকসঙ্গীত, লোকনৃত্য এবং লোককথা প্রচলিত আছে।ব্যবসা বাণিজ্যঃ নওগাঁ জেলা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্যও বিখ্যাত। এখানে বহু প্রাচীন বাজার রয়েছে।
নওগাঁ জেলার ঐতিহ্যবাহী স্থান
নওগাঁ, বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এই জেলায় রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা যা এর সমৃদ্ধ অতীতের কথা বলে। আসুন জেনে নিই নওগাঁর কিছু বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে:
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার (সোমপুর মহাবিহার) নওগাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান হল পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনাটি ৮ম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল এবং পাল সাম্রাজ্যের শিক্ষা ও ধর্মীয় কেন্দ্র ছিল। এই বিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এটি তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ বিহার ছিল।
কুসুম্বা মসজিদঃ নওগাঁ সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে মান্দা উপজেলায় অবস্থিত কুসুম্বা মসজিদ। ১৫শ শতাব্দীতে নির্মিত এই মসজিদটি ইন্দো-আরব স্থাপত্যের একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন। মসজিদের জটিল খোদাই করা মিহরাব এবং গম্বুজযুক্ত ছাদ সেই সময়ের শিল্পীদের দক্ষতার পরিচয় বহন করে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়ার মোট টাকা কত লাগে
জগদ্দল বিহারঃ নওগাঁর আরেকটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার হল জগদ্দল বিহার। এই বিহারটি পাহাড়পুরের মতো বিশাল নয়, তবে এর স্থাপত্য শৈলী এবং অবস্থান এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা করে তুলেছে।
ভবানীপুর জমিদার বাড়িঃ নওগাঁর ভবানীপুরে অবস্থিত এই জমিদার বাড়িটি বাংলার রাজকীয় জীবনের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। এই বাড়ির স্থাপত্য শৈলী এবং অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা বাংলার জমিদারদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দেয়।
রবি ঠাকুরের কাচারিবাড়িঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের একটি অংশ নওগাঁয় কেটেছে। তাঁর কাচারিবাড়ি এখনও নওগাঁয় রয়েছে এবং এটি সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে একটি তীর্থস্থান।
এছাড়াও, নওগাঁয় আরও অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে, যেমন,ভিমের পান্টিঃ একটি প্রাচীন কুয়ো। আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানঃ একটি সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। দিব্যক জয়স্তম্ভঃ একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা।
নওগাঁ জেলা দর্শনীয় স্থান সমূহ
কেন ঘুঘু ডাঙ্গা দর্শনীয়? ঘুঘু ডাঙ্গার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। টিলার উপর দাঁড়িয়ে পুরো এলাকার এক নজরে দেখা যায়। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় এই দৃশ্য আরো মনোরম হয়।ঘুঘু ডাঙ্গা শহরের কোলাহল থেকে দূরে, একটি শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ উপভোগ করার জন্য আদর্শ স্থান। ঘুঘু ডাঙ্গা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে পিকনিক করার জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।
কিছু লোকের বিশ্বাস অনুযায়ী, ঘুঘু ডাঙ্গা একটি ধর্মীয় স্থানও। ঘুঘুডাঙ্গা বর্তমানে তাল গাছের জন্য বিখ্যাত। অসংখ্য ধরনের তালগাছ রয়েছে এই পর্যটন এলাকায়। যা আপনার ভ্রমণে এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করবে। ঘুঘু ডাঙ্গায় বসে বই পড়া, গান শোনা বা মনের মতো সময় কাটানো যায়।ঘুঘু ডাঙ্গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি তুলে স্মৃতি সংগ্রহ করা যায়।পরিবার বা বন্ধুদের সাথে পিকনিক করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ কানাডা ভ্রমনের সহজ পদ্ধতি
কুসুম্বা মসজিদঃ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত কুসুম্বা মসজিদ সুলতানি আমলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা। প্রায় সাড়ে চারশত বছরের পুরনো এই মসজিদটি স্থাপত্যশৈলীর একটি অনন্য নিদর্শন।
কুসুম্বা মসজিদের ইতিহাস ও গুরুত্বঃমসজিদটির মিহরাবের উপর সুলতান
আলা-উদ-দীন হোসাইন শাহ এর নাম লিপিবদ্ধ থাকায় ধারণা করা হয় তাঁর
শাসনামলে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।মসজিদটি চতুস্কোণ বিশিষ্ট এবং
কালো ও ধুসর বর্ণের পাথর এবং পোড়া মাটির ইষ্টক দ্বারা নির্মিত।
জ্যামিতিক নক্সার আদলে পোড়ামাটির সুদৃশ্য কারুকাজ খচিত মাটির টালি,
মিহরাবে বিভিন্ন ফুল, লতা-পাতা ঝুলন্ত শিকল ও মনোরম শৈল্পিক
কারুকাজ
কুসুম্বা মসজিদ কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, এটি বরং নওগাঁ জেলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মসজিদের সম্মুখে ২৫.৮৩ একরের একটি বিশাল জলাশয় রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরে উত্তর-পশ্চিম কোনে স্তম্ভের উপর একটি উচু আসন রয়েছে। ধারণা করা হয়, এই আসনে বসেই কাজী/বিচারক বিচার কার্য পরিচালনা করতেন। কুসুম্বা মসজিদের ছবি বাংলাদেশি ৫ টাকার নোটে ছাপা হয়েছে, যা এর গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি করেছে।
নওগাঁ জেলা পার্ক সমূহ
নওগাঁ জেলা, তার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির পাশাপাশি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও পরিচিত। এই জেলার বিভিন্ন পার্ক প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য। এই পার্কগুলি শুধুমাত্র বিনোদনের জায়গা নয়, বরং শান্তি ও প্রশান্তি খুঁজতে আসা মানুষের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থলও বটে। আসুন, নওগাঁর বিভিন্ন পার্কের একটি সুন্দর ভ্রমণে বের হই।
ডানা পার্কঃ নওগাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় পার্কগুলির মধ্যে একটি হল ডানা পার্ক। এই পার্কটি তার সুন্দর পরিবেশ এবং বিভিন্ন আকর্ষণের জন্য পরিচিত। নওগাঁ জেলা পরিষদ পার্কঃএটি নওগাঁ শহরের প্রাণকেন্দ্র। এই পার্কটি তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। জনকল্যাণ পার্কঃএটি নওগাঁর একটি ছোট্ট কিন্তু সুন্দর পার্ক। এই পার্কটি তার শান্ত পরিবেশ এবং সবুজ প্রকৃতির জন্য পরিচিত।
নওগাঁর পার্কগুলিতে কী করা যায়ঃ পার্কগুলিতে বসে পড়া, গান শোনা বা শুধু মাত্র প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা।পার্কের চারপাশে হাঁটা, দৌড়ানো বা যোগাসন করা।পরিবার বা বন্ধুদের সাথে পিকনিক করার জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা।পার্কের সুন্দর দৃশ্যাবলী ক্যামেরাবন্দি করা।নওগাঁর পার্কগুলি শুধুমাত্র একটি বিনোদনের জায়গা নয়, বরং প্রকৃতির সাথে যোগাযোগ এবং মানসিক শান্তি খুঁজতে আসা মানুষের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য।
নওগাঁ জেলা বিখ্যাত খাবার
নওগাঁ জেলা শুধুমাত্র তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্যই নয়, তার সুস্বাদু খাবারের জন্যও বিখ্যাত। এই জেলার খাবারে রয়েছে এক অনন্য স্বাদ, যা একবার খেলেই মনে রেখে যায়। আসুন, নওগাঁর বিখ্যাত খাবারের একটি সুন্দর ভ্রমণে বের হই।প্যারা সন্দেশঃনওগাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত খাবার হল প্যারা সন্দেশ। এই মিষ্টির স্বাদ এতই অনন্য যে, এটি নওগাঁর পরিচয়।
বিরিয়ানিঃ নওগাঁর বিরিয়ানিও খুবই জনপ্রিয়। এখানকার বিরিয়ানির স্বাদ অন্য জায়গার বিরিয়ানির থেকে একটু আলাদা। মটরশুটির কোরমঃ এটি নওগাঁর একটি জনপ্রিয় তরকারি। মটরশুটির কোরমা সাধারণত চালের সাথে খাওয়া হয়।মিঠা পাঁউঃ এটি নওগাঁর একটি জনপ্রিয় নাস্তা। মিঠা পাঁউ সাধারণত চা বা কফির সাথে খাওয়া হয়।মাছের জালঃএটি নওগাঁর একটি জনপ্রিয় মাছের রান্না।
মাছের জাল সাধারণত দুপুরের খাবার হিসেবে খাওয়া হয়। নওগাঁর খাবারে স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যা এটিকে অনন্য স্বাদ দেয়।নওগাঁর খাবারে বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয়, যা এটিকে একটি মজাদার স্বাদ দেয়। নওগাঁর খাবারের একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে।নওগাঁ জেলা তার সুস্বাদু খাবারের জন্য বিখ্যাত। যদি আপনি নওগাঁয় ভ্রমণ করেন, তাহলে এই খাবারগুলি চেখে দেখতে ভুলবেন না।
নওগাঁ জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা
নওগাঁ জেলা মুক্তিযুদ্ধে এক অসাধারণ অবদান রেখেছে। এই জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও বলিদানের ফলেই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তবে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও তাদের গল্প এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানের মতো উন্নত ছিল না। ফলে সকল মুক্তিযোদ্ধার তথ্য সংগ্রহ ও তালিকাভুক্ত করা কঠিন ছিল।
অনেক ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র হারিয়ে গেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে।অনেক মুক্তিযোদ্ধা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছিলেন।কোথায় পাবেন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা? এই মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে অনেক মুক্তিযোদ্ধার তালিকা পাওয়া যায়।আপনি আপনার জেলার প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চাইতে পারেন।
নওগাঁ জেলা নদী কি কি?
নওগাঁ জেলা নদী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, এটা খুবই ভালো। নওগাঁ জেলা বিভিন্ন নদীতে সমৃদ্ধ, যা জেলার ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।আত্রাই নদীঃ এই নদীটি জেলার অন্যতম বৃহৎ নদী। ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থেকে নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় প্রবেশ করেছে।
এই নদীটি মাছ চাষ, কৃষি এবং নৌকা চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।ছোট যমুনা নদীঃ এই নদীটিও জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি ভারত থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায় প্রবেশ করেছে এবং নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলা হয়ে আত্রাই নদীর সাথে মিশেছে। এই নদীটি নওগাঁ শহরকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে।
আরও পড়ুনঃ কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
পূর্নভবা নদীঃ এই নদীটি পোরশা উপজেলায় অবস্থিত। কালের বিবর্তনে নদীটি বিলীন হতে চলেছে। আগে এই নদীটির তীরে নিতপুর নামক একটি বড় নৌ-বন্দর ছিল।ফকিরনী নদী, শিব নদী, নাগর নদী, তুলসীগঙ্গা নদীঃ এই নদীগুলোও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত এবং স্থানীয় জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কৃষিঃ এই নদীগুলোর পানি কৃষি জমি সেচের কাজে ব্যবহৃত হয়। মাছ চাষঃ নদীগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় এবং এখানে মাছ চাষ করা হয়। নৌকা চলাচলঃ বর্ষাকালে এই নদীগুলোতে নৌকা চলাচল হয়। পানীয় জলের উৎসঃ অনেক ক্ষেত্রে এই নদীগুলোই স্থানীয় জনগণের জন্য পানীয় জলের উৎস।
নওগাঁ জেলার গ্রাম-জনসংখ্যা-ইউনিয়ন-থানা
নওগাঁ জেলায় মোট ১১টি থানা রয়েছে। নওগাঁ জেলার থানাগুলি হলঃ মহাদেবপুর,বদলগাছী,পত্নীতলা,ধামইরহাট,নিয়ামতপুর,মান্দা,আত্রাই,রাণীনগর,নওগাঁ সদর মডেল থানা, পোরশা,সাপাহার।নওগাঁ জেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক একক। এটি তার সমৃদ্ধ কৃষি, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামীণ এলাকা জন্য পরিচিত।
নওগাঁ জেলার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হল কৃষি। জেলার বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে এবং কৃষি কাজে নিযুক্ত থাকে। জেলার গ্রামগুলো সাধারণত ছোট ও মাঝারি আকারের এবং ঘনবসতিপূর্ণ।নওগাঁ জেলা ধান উৎপাদনে দেশের অন্যতম অগ্রণী জেলা। ধানের পাশাপাশি এখানে পাট, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি ফসলও উৎপাদিত হয়।
গ্রামীণ জীবন এখানে খুবই সহজ-সরল। লোকজন পরস্পরের সাথে মিলেমিশে বাস করে।নওগাঁ জেলার জনসংখ্যা বেশ উচ্চ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাও উচ্চ। জেলাটির জনসংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে, যার মূল কারণ হল উচ্চ জন্মহার।নওগাঁ জেলার প্রশাসনিক একক হল ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক গ্রাম থাকে। ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক একক।
শেষ কথা
আপনি যদি নওগাঁ ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে নিশ্চিত থাকুন, আপনি মুগ্ধ হবেন।
আপনার ভ্রমণ সুখকর হোক!
আরজে লতিফ ডিএম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url