মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন
ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পেশা যেখানে আপনি কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে কাজ না করে, নিজের ইচ্ছামতো বিভিন্ন কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন। আপনি আপনার দক্ষতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারেন এবং নিজের সময়সূচী নিজেই নির্ধারণ করতে পারেন। সহজ কথায় বললে, ফ্রিল্যান্সিং হলো আপনার নিজের বস হয়ে থাকা বা নিজের স্বাধীনতা।
ফ্রিল্যান্সিং হল অনলাইন অর্থ উপার্জন একটি বড় প্লাটফর্ম যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হল মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন। পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন আশা করি আপনার ফ্রিল্যান্সিং সফলতা মোবাইল দিয়ে ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
পেজ সূচিঃ মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন
- মোবাইলে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সাইড
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি লাগে
- মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন
- মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন
- মোবাইল দিয়ে আসলে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় কিনা
- ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব
- শেষ মন্তব্য
মোবাইলে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সাইড
আপনি কি জানেন যে আপনার হাতের মোবাইলটি দিয়েই আপনি বিশ্বব্যাপী কাজ করে অর্থ
উপার্জন করতে পারেন? হ্যাঁ, একেবারেই সঠিক আজকের এই ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোনটি
আর শুধু কল করার বা মেসেজ করার যন্ত্র নয়, এটি হয়ে উঠেছে আমাদের কাজের একটি
শক্তিশালী হাতিয়ার। আপনি যেখানে ইচ্ছা, যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন।
একটি স্মার্টফোন এবং একটি ইন্টারনেট সংযোগই যথেষ্ট। আপনার দক্ষতার ভিত্তিতে
বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। আপনি নিজের আয় নিজেই নির্ধারণ করতে পারবেন।
ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল, সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাপশন লেখার কাজ। লোগো, ব্যানার,
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন করা। ছোট ছোট ভিডিও সম্পাদনা করা। বিভিন্ন ভাষায়
অনুবাদ করা।
ব্যবসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং করা। ছোট ছোট অ্যাপ তৈরি
করা। মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস-একটি দ্রুত প্রসেসর
এবং পর্যাপ্ত স্টোরেজ স্পেস থাকা জরুরি। কাজ করার জন্য একটি ভালো ইন্টারনেট
সংযোগ অত্যন্ত জরুরি। Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদি অ্যাপ ব্যবহার করে
আপনি কাজ খুঁজে পেতে পারেন। আপনার যে কাজটি করতে চান, সেই কাজটিতে আপনার যথেষ্ট
দক্ষতা থাকতে হবে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনার কোনো বিশেষ ডিগ্রি বা
প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। আপনার মধ্যে থাকা দক্ষতা এবং ইন্টারনেট সংযোগই
যথেষ্ট। আপনি কী কাজ ভালো করতে পারেন? লেখালেখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও
এডিটিং, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি যে কোনো একটি দক্ষতা আপনার কাছে থাকতে পারে।
YouTube, Udemy, Coursera ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে আপনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য
বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে অনেক কোর্স পাওয়া যায়।
Upwork, Fiverr, Freelancer ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে একটি প্রোফাইল তৈরি করুন ও
আপনার পরিষেবাগুলি তালিকাভুক্ত করুন। আপনার কাজের নমুনাগুলি একটি পোর্টফোলিওতে
রাখুন। এটি ক্লায়েন্টদের আপনার কাজ দেখাতে সাহায্য করবে। অন্যান্য
ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের কাছ থেকে শিখুন। আপনার রেটিং
বাড়াতে এবং আরো কাজ পাওয়ার জন্য শুরুতে কাজগুলি স্বল্প মূল্যে করতে পারেন।
ভালো একটি ইন্টারনেট সংযোগ রাখুন-স্থির এবং দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ কাজের জন্য
অত্যন্ত জরুরী সময় ব্যবস্থাপনা করুন-কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখুন।
ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন-ভালো রেটিং পেলে আপনার কাজের সুযোগ
বাড়বে। নিজেকে আপডেট রাখুন-আপনার দক্ষতা নিয়ে নিয়মিতভাবে কাজ করুন এবং নতুন
নতুন জিনিস শিখুন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম
আজকের ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন হাতে থাকলে আপনি যে কোনো জায়গা থেকে, যে কোনো
সময় কাজ করে আয় করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে আপনাকে কোনো
নির্দিষ্ট অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে না। আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন
কাজ করে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। কন্টেন্ট রাইটিংঃ ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল,
সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাপশন, প্রোডাক্ট ডিস্ক্রিপশন ইত্যাদি লেখার কাজ।
আরও পড়ুনঃ আপওয়ার্ক থেকে ইনকাম করার উপায়
গ্রাফিক ডিজাইনঃ লোগো, ফ্লায়ার, ব্যানার ইত্যাদি ডিজাইন করা। ভিডিও এডিটিংঃ
ছোট ছোট ভিডিও এডিট করে ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদিতে আপলোড করা। অ্যাপ
ডেভেলপমেন্টঃ সহজ সরল অ্যাপ ডেভেলপ করে গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করা। সোশ্যাল
মিডিয়া মার্কেটিংঃ বিভিন্ন ব্যবসার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করা।
ট্রান্সলেশনঃ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা। ভয়েস ওভারঃ ভিডিও বা অডিওতে কণ্ঠ
দিয়ে কাজ করা। ডাটা এন্ট্রিঃ বিভিন্ন ধরনের ডাটা ইনপুট করা।
আরো অনেক বিষয় রয়েছে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার তবে
উপরোক্ত যে বিষয়গুলো আলোচনা করেছি এই বিষয়ের মধ্যে যেকোনো একটি আপনি বেছে
নিতে পারেন এবং আপনারা অনলাইন ইনকাম কে কাজে লাগাতে পারেন এছাড়া আরও অনেক
বিষয় রয়েছে যেগুলি স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করি পুরো
আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত এবং ধৈর্য সহকারে পড়ুন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি কি লাগে
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনার কাছে কিছু মৌলিক জিনিস থাকা
জরুরি। যেগুলো আমি স্টেপ বাই স্টেপ আমরা দেখাবো তুলে ধরব যেমন একটি স্মার্টফোন।
আপনার ফোনটি যথেষ্ট শক্তিশালী হওয়া জরুরি যাতে আপনি সহজে অ্যাপস ব্যবহার করতে
পারেন এবং মাল্টিটাস্কিং করতে পারেন। একটি বড় স্ক্রিনে কাজ করা সহজ হয়। আপনার
কাজের ফাইল এবং অ্যাপস রাখার জন্য যথেষ্ট স্টোরেজ স্পেস থাকা জরুরি। একটি
স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগঃ ভিডিও কনফারেন্স, ফাইল ট্রান্সফার ইত্যাদি
করার জন্য আপনার একটি ভালো ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে। আপনি যেখানেই কাজ
করেন না কেন, একটি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ থাকা জরুরি। প্রয়োজনীয় অ্যাপসঃ
আপনার কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে আপনাকে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করতে হতে
পারে। যেমন, কন্টেন্ট রাইটিংয়ের জন্য Google Docs, গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য
Canva ইত্যাদি।
মিটিং এবং কমিউনিকেশনের জন্য অ্যাপস Zoom, Skype, Slack ইত্যাদি অ্যাপস
ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। PayPal, Stripe ইত্যাদি
অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। দক্ষতা-কোনো একটি বিষয়ে
দক্ষতা: আপনার যে কোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা থাকা জরুরি। যেমন, লেখালিখি, গ্রাফিক
ডিজাইন, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি। ভাষা দক্ষতা- অনেক ক্ষেত্রে ভালো ইংরেজি জানা
জরুরি।
ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মঃ আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি প্লাটফর্মে
একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। প্রোফাইল তৈরি-আপনার প্রোফাইলটি সুন্দর করে তৈরি করুন। পোর্টফোলিও আপলোড- আপনার কাজের নমুনাগুলো আপলোড করুন। মার্কেটিং-আপনার সেবাগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায়
প্রচার করুন।অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করুন। ধৈর্য-সফলতা একদিনেই আসে না
ধৈর্য ধরে কাজ করে যান। ক্রমাগত শিখুন- নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করতে থাকুন।
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান, এটা খুবই ভালো একটা সিদ্ধান্ত! আজকাল
স্মার্টফোন এত উন্নত হয়েছে যে, আপনি সহজেই আপনার মোবাইল দিয়েই
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন এবং কাজ করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে কিভাবে
ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন এ সকল বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি আশা করি
মনোযোগ সহকারে পড়বেন
অনলাইন কোর্সঃ ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত হাজার হাজার ভিডিও রয়েছে।
আপনি আপনার পছন্দমতো কোনো বিষয় বেছে নিয়ে ভিডিও দেখতে পারেন। কোর্স
প্ল্যাটফর্মঃ বাংলাদেশের সেরা এবং বিশস্ত সাইট
অর্ডিনারি আইটি প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত অনেক পেইড এবং ফ্রি কোর্স পাওয়া
যায়। ব্লগ এবং ওয়েবসাইটঃ অনেক
ফ্রিল্যান্সার এবং এক্সপার্ট
নিজেদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল দিয়ে
থাকেন।
প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপসঃ টাস্ক ম্যানেজমেন্ট, নোট টেকিং, ক্যালেন্ডার ইত্যাদির
জন্য অ্যাপস ব্যবহার করুন। ডিজাইন অ্যাপসঃ Canva, Adobe Photoshop Express
ইত্যাদি অ্যাপস দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে পারবেন। কোডিং অ্যাপসঃ SoloLearn,
Mimo ইত্যাদি অ্যাপস দিয়ে প্রোগ্রামিং শিখতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন
আপনি কি মনে করেন গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে অবশ্যই একটি পিসি বা ল্যাপটপের
প্রয়োজন কিন্তু আজকের ডিজিটাল যুগে সেটা আর সত্যি নয় আপনার হাতের
মোবাইলটিই হয়ে উঠতে পারে আপনার সৃজনশীলতার ক্যানভাস অবশ্যই ঘটবে বা করতে
পারবেন। মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন? আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার
মোবাইলটি সঙ্গে থাকলেই আপনি ডিজাইন করতে পারবেন।
অনেক অ্যাপস এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে নতুনরাও খুব সহজে ডিজাইন শিখতে
পারে । আপনাকে কোনো জটিল সফটওয়্যার শিখতে হবে না। মোবাইল ডিজাইনিং আপনাকে
সবসময় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উৎসাহিত করে। মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার
জন্য জনপ্রিয় অ্যাপস-Canva: সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ব্যবহারকারীবান্ধব
অ্যাপসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, লোগো,
ফ্লায়ার, ইনভাইটেশন ইত্যাদি সহজেই ডিজাইন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ব্লগিং থেকে টাকা ইনকামের সহজ উপায়
Adobe Photoshop Express: ফটো এডিটিং এবং ম্যানিপুলেশনের জন্য একটি শক্তিশালী
টুল। Adobe Illustrator Draw: ভেক্টর গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য একটি দুর্দান্ত
অ্যাপ। Procreate: আইপ্যাডের জন্য একটি পেশাদার ডিজিটাল পেইন্টিং
অ্যাপ। মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন বা মোবাইলে গ্রাফিক্স
ডিজাইন শিখার উপায় ইউটিউব টিউটোরিয়ালঃ ইউটিউবে হাজার হাজার ফ্রি
টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।
অনলাইন কোর্সঃ Udemy, Coursera
odinary it ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে
মোবাইল গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্সগুলো পাওয়া যায়।সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপঃ
ফেসবুক,
ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে গ্রাফিক্স ডিজাইন গ্রুপে যোগদান করে অন্যদের সাথে
আলাপচারা করুন এবং তাদের কাছ থেকে শিখুন। প্র্যাকটিসঃ নিয়মিত প্র্যাকটিস
করুন। যত বেশি প্র্যাকটিস করবেন ততই আপনার দক্ষতা বাড়বে।
মোবাইল দিয়ে আসলে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় কিনা
হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়, তবে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
মোবাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন স্কিল শেখা সম্ভব, যেমনঃ
কন্টেন্ট রাইটিং মোবাইলে সহজেই লেখালেখি করা যায় এবং অনলাইনে বিভিন্ন
লেখা প্ল্যাটফর্মে কাজ করা সম্ভব।বগ্রাফিক ডিজাইন মোবাইলের জন্য
বিভিন্ন গ্রাফিক ডিজাইন অ্যাপ (যেমন Canva) আছে, যা দিয়ে সহজ ডিজাইন করা
যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট তৈরি, প্ল্যানিং
এবং ম্যানেজমেন্ট কাজ মোবাইলে সহজেই করা যায়। অনলাইন কোর্স ও টিউটোরিয়াল
ইউটিউব, odinaryit Udemy,
Coursera ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্স
মোবাইলেই দেখা এবং শেখা যায়।ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের দক্ষতা
মোবাইল অ্যাপ দিয়ে Fiverr, Upwork, Freelancer এর মত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার
করা যায়।
তবে কিছু স্কিল যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং, বা ভারী গ্রাফিক
ডিজাইন, এগুলোতে কম্পিউটার ব্যবহার করা বেশি কার্যকরী। মোবাইল দিয়ে
সীমিতভাবে শেখা সম্ভব হলেও, কাজ করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করলে আরও ভালো
ফলাফল পাওয়া যাবে। আশা করি মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন
বা মোবাইল দিয়ে আসলে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় কিনা তা বুঝতে
পেরেছেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অনেক উপায় আছে। আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কোনো
উপায় বেছে নিতে পারেন। তবে আমি আমার প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের
একটি সাজেশন দিতে চাই যেন আপনারা সঠিক উপায়ে সঠিক সিদ্ধান্তে অনলাইন থেকে
মোবাইল দিয়ে ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। আপনি একজন সকল ফ্রিল্যান্সার
হিসেবে গড়ে উঠতে পারেন।
আমি সর্বপ্রথম যে একটি ফ্রিল্যান্সিং আইটি সেক্টর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব তা
বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় আইটি সেক্টর। আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে হোক বা ডেস্কটপ
বা ল্যাপটপ দিয়েই হোক যেকোনো উপায়ে ফ্রীলান্সিং কাজ শিখতে পারবে এবং কেরিয়ার
করতে পারবেন তেমনি একটি আইটি সেক্টর নাম হচ্ছে
অর্ডিনারি আইডি আপনি চাইলে পেইড
কোর্স বা ইউটিউব কোর্স এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ AI দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায় কি
আপনি চাইলে এই অর্ডিনারি আইটি কোচিং বা ট্রেনিং সেন্টারে ফ্রিল্যান্সিং শিখে
আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন এই অর্ডিনারি আইডি অল্প খরচে আপনাকে একজন সফল
হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। এছাড়াও এই আইডিতে আপনি ফ্রিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ
সুবিধা পেয়ে থাকবেন।
অডিনারি আইডি আপনাকে দিচ্ছে
লাইফ টাইম কাজের সুযোগ ও গ্যারান্টি আপনি কোর্সের ভিতরেও বা শেষ হওয়ার আগেই
ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
এছাড়া অরিজিনারি আইডি আপনাকে দিচ্ছে কোর্স চলাকালীন প্যাসিভ ইনকামের মানিব্যাগ
গ্যারান্টি পাশাপাশি একটিভ ইনকামের গ্যারান্টি দিয়ে থাকে তাই সিদ্ধান্ত
নেওয়ার আগে ফ্রিল্যান্সিং শিখার আগে আপনার জন্য একটি বেস্ট ফিন্যান্সিং
ট্রেনিং সেন্টার হতে যাচ্ছে যার মাধ্যমে আপনি অনলাইন জগতে সফল
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন। আপনি চাইলে আমাদের সাথে
যোগাযোগ করেও
ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন বা
পরামর্শ নিতে
পারেন।
শেষ মন্তব্য
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব, তবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে কারণ
মোবাইল ডিভাইসের স্ক্রিন ছোট এবং কিছু কাজের জন্য কম্পিউটারের মতো পেশাদার
সফটওয়্যার ব্যবহার করা সহজ নয়। তবে, অনেক কাজই মোবাইলে করা সম্ভব এবং
বর্তমান প্রযুক্তির সব মোবাইল দিয়েই তা করা সম্ভব বা ইনকাম করা সম্ভব বলে আমি
মনে করি আমি প্রথম অবস্থায় মোবাইল দিয়ে
ফেসবুক মার্কেটিং
করেছি।
আপনি চাইলেও এ ধরনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যা মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব এসব কাজ
বেছে নিয়ে করতে পারেন, দেখবেন সফলতা আপনার একদিন হুরহুর করে দুয়ারে
আসবে। আমারে পুরো আর্টিকেলটি আপনাদের আমার প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা থেকে
বোঝাতে চেয়েছি আশা করি উপরোক্ত বিষয় পড়ে আপনি মোবাইল দিয়ে কিভাবে
ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন এ বিষয়টি আপনার কাছে একটি ক্লিয়ার ধারণা হিসেবে পরিণত
হয়েছে এতক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য ।ধন্যবাদ।
বি দ্রঃ ভাষা জনিত ভুল-ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন
আরজে লতিফ ডিএম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url