ব্যবসা হল এমন একটি কাজ যেখানে পণ্য বা সেবা উৎপাদন করা হয় এবং তা বিক্রি করে
লাভ করা হয়। আরো সহজ করে বললে, আপনি যখন কোনো কিছু তৈরি করেন বা কোনো কাজ করেন
এবং সেই কাজের বিনিময়ে টাকা পান, তখন তাকে ব্যবসা বলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের
ব্যবসা হয়েছে যে সকল ব্যবসা আপনাকে সাফল্য করে তুলবে আশা করি।
আজকে আমি আপনাদের বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি এই বিষয়ে
গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল তৈরি করব আশা করি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আপনি যদি
ব্যবসা শুরু করতে যান তাহলে আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য এ টু জেড ধারণা
পাবেন। যার মাধ্যমে আপনি ব্যবসার আইডিরাকে সফলতায় পরিণত করতে পারবেন।
নতুন ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি উত্তেজনাপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, এটি
একটি চ্যালেঞ্জিং কাজও বটে। সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে আপনাকে বিভিন্ন ধাপ অনুসরণ
করতে হবে। অনেক ধরনের বাধা বিঘ্নতা সৃষ্টি হতে পারে এবং অনেক প্রতিযোগিতার
মধ্যেও আপনাকে টিকে থাকার মোকাবেলা করতে হবে। আসুন বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই
কীভাবে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করবেন
ব্যবসার ধারণা নির্বাচন কোন বিষয়ে আপনি সবচেয়ে বেশি আগ্রহী এবং দক্ষ? বাজারের
কোন পণ্য বা সেবার জন্য বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা? আপনার প্রতিযোগীরা কারা
এবং তারা কীভাবে ব্যবসা করছে? লাভের সম্ভাবনা আপনার ব্যবসা থেকে কতটা আশা
করতে পারেন? এ সকল প্রশ্ন আপনার ব্যবসায় আসতে পারে দৃষ্টি রাখবেন।
ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করায় ব্যবসার মূল লক্ষ্য কারণ আপনি যদি ঠিকঠাক ব্যবসা
নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে ব্যবসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে
পারে। বাজার বিশ্লেষণ করে ব্যবসা অবশ্যই শুরু করবেন পণ্যের মান মার্কেটিং ও
বিক্রয় প্রতিযোগিতা কি রকম অধ্যায়ন-অপারেশন বা আর্থিক প্রেক্ষাপট দৃষ্টি
রেখে ব্যবসা শুরু করুন।
মনে রাখবেন একটি সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন। আপনাকে কঠোর
পরিশ্রম করতে হবে, নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে এবং শিখতে হবে। আপনার
ব্যবসাকে আঁকড়ে ধরেই আপনি ব্যবসায় সফলতা আসবেন এই বিষয়ে আপনাকে লক্ষ্য রেখে
আপনার ব্যবসা দাঁড় করাতে হবে।
অল্প পুঁজিতে কি কি ব্যবসা করা যায়
অল্প পুঁজিতে অনেক ধরনের ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। আপনার আগ্রহ, দক্ষতা এবং
বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে আপনি সঠিক ব্যবসাটি বেছে নিতে পারেন। ব্যবসা বিষয়ে
আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিবেন কারণ আপনি যে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন
সে ব্যবসাটি আপনার জীবনের কর্ণধার। চলুন অল্প পুজিতে টিকে ব্যবসা করা যায় কিছু
টিপস দিয়।
অনলাইন ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশ তথা বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজনেস
হিসেবে দাঁড়িয়েছে যা আপনি অল্প পুজিতেও শুরু করতে পারেন যেমন ধরুন ব্লগিং,
ভিডিও এডিটিং ভিডিও ব্লগিং, এফিলেট মার্কেটিং ইকমার্স ফ্রিল্যান্সিং সাইট এ
ধরনের অনলাইনে বিভিন্ন সেক্টরে আপনি কাজ করে অনেক লাভবান হতে পারবেন কারণ
বর্তমানে এটি একটি ট্রেনিং,ব্যাবসা।
আরেকটি ব্যবসা হল হোম ডেলিভারি যেমন ধরুন আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ক্রয়
করে সেটি আবার কাস্টমারদের কাছে ও হোম ডেলিভারিতে বিক্রি করছেন। আবার মনে করুন
আপনি একটি দোকানে সেলসম্যান এর কাজ করছেন ওই দোকানের কিছু লাভের
চাহিদাপূর্ণ প্রোডাক্ট আপনি হোম ডেলিভারিতে বিক্রি করতে পারেন।
খাদ্য ব্যবসা এটি একটি লাভজনক ব্যবসা বর্তমানে বাংলাদেশ তথা বিশ্বে খাদ্য
ব্যবসায় লাভ এর সংখ্যা বেশি। আপনি যদি একটি ভালো খাবার বা রেসিপি তৈরি করতে
পারেন এবং সেটি যদি ভালো মানের হয় এবং কাস্টমারগুলি যদি একবার আপনার খাবার
প্রশংসা মুক্ত হয় তাহলে দেখবেন অটোমেটিক্যালি আপনার দোকানের সেল বেড়ে যাবে।
অবশ্যই খাদ্য ব্যবসা শুরু করার আগে প্রোডাক্ট এর মান আপনার ভালো রাখতে হবে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি
বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি এই প্রশ্নটা আপনার হয়ে থাকে তাহলে
অবশ্যই উত্তর দেওয়াটা একটু কঠিন হবে কারণ বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের লাভজনক
ব্যবসা রয়েছে। লাভজনকটা নির্ভর করে একজন ব্যবসায়ীর উপর আপনি কোন বিষয়ে
সবচাইতে বেশি আগ্রহী সেই বিষয়ের উপর তাহলে অবশ্য বুঝতে পারছেন।
আপনার ব্যবসায় কি ধরনের মার্কেটিং করলে আপনি ব্যবসায় লাভজনক হতে পারবেন তবে
আপনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস আমি তুলে ধরলাম যা বাংলাদেশের
ব্যবসায় সবচাইতে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং আপনার
ব্যবসা কাজে লাগবে বলে আমি মনে করি। গুরুত্ব সহকারে পড়বেন যা আপনার
ব্যবসায় অনেক কাজে লাগবে।
অনলাইন ব্যবসা বাংলাদেশের বর্তমানে সবচাইতে লাভজনক ব্যবসা। বর্তমানে বাংলাদেশ
তথা বিশ্বে এই ব্যবসাটি ব্যাপক হারে পরিচিত লাভ করেছে কারণ অল্প পুঁজিতে আপনি
চাইলে কিংবা চাইলে পুঁজি না খাটিও আপনি খুব সহজে ব্যবসা শুরু করতে পারছেন।
বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে যেমন এফিলেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মার্কেটিং
ফেসবুক মার্কেটিং ইউটিউব মার্কেটিং ইত্যাদি ইত্যাদি।
বাংলাদেশে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি এক কথায় বলতে গেলে অনেকে বলে কাপড়ের
ব্যবসা আবার কসমেটিক ব্যবসা বিভিন্ন ধরনের খাবার রেসিপি এর ব্যবসা অনলাইন
ব্যবসা ইত্যাদি। হ্যাঁ অবশ্যই এই ব্যবসা গুলি বর্তমানে বাংলাদেশের একটি লাভজনক
ব্যবসা পরিণত হয়েছে আপনি চাইলে ব্যবসা শুরু করতে পারেন আপনার যোগ্যতা
ক্যাটাগরি এবং চাহিদা অনুসারে।
ছোট ব্যবসার আইডিয়া
অল্প পুঁজিতে বড় স্বপ্ন দেখতে চান? ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশে
অনেক সম্ভাবনা রয়েছে ছোট ব্যবসার। আসুন কিছু লাভজনক আইডিয়া জেনে নেওয়া
যাক-একটি ব্যবসা হল খাবার ও পানীয় ব্যবসা বিভিন্ন ধরনের খাবার রেসিপি
তৈরি করে ছোট ছোট আইটেমগুলো আপনি যেকোনো জায়গায় যে কোন তে পরিস্থিতিতে বিক্রি
করে মুনাফা অর্জন করতে পারে।
আরেকটি কাজ হল হস্তশিল্প কুটির শিল্প কাজ এ সকল ছোট ছোট কাজ করে আপনি খুব
সহজে ব্যবসা দার করে ফেলতে পারেন যেমন ধরুন আপনি গ্রামের বসবাস করেন সে
ক্ষেত্রে আপনি এক ধরনের কুটির শিল্প নিয়ে বিভিন্ন মহিলাদের কাছ থেকে সেগুলো
তৈরি করে নিবেন এবং সেগুলো আবার বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে বিক্রি করে
অর্জন করলেন।
কৃষি কাজ পণ্য ও সেবা এ সকল কাজ করেও আপনি ব্যবসা দার করাতে পারেন যেমন
ধরুন আপনি কৃষি কাজের জন্য বিভিন্ন প্রজেক্ট ব্যবহার করতে পারেন। মনে করেন আপনি
আলুর জমি বন্ধক নিয়েছেন সে ক্ষেত্রে আপনারা এ টু জেড হিসাব রয়েছে হিসাব শেষে
আপনি দেখবেন কৃষি কাজ থেকে অবশ্যই আপনার একটি লাভের পরিমাণ এসেছে আপনি চাইলে
বড় বড় কাজ করুন বা প্রজেক্ট করে ইনকাম করতে পারেন।
স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া
আধুনিক যুগে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা শুরু করা এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং
লাভজনক পথ। স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া আপনাকে অন্যদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে
পারে। আসুন কিছু জনপ্রিয় স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া দেখে নেওয়া যাক
স্মার্ট ব্যবসা কি স্মার্ট ব্যবসা থেকে কিভাবে আপনি লাভবান হবেন সে বিষয়ে একটি
ধারণা নেওয়া যাক।
স্মার্ট ব্যবসা বলতে আমরা সেই ব্যবসা গুলি যায় যে ব্যবসাটি তথ্যপ্রযুক্তির
যুগে ব্যবহৃত হচ্ছে যেমন ধরুন অনলাইন বিজনেস। অনলাইন বিজনেসে বিভিন্ন ধরনের
ব্যবসা রয়েছে যা ডিটেলসে আপনাদের এটুকু সময়ের মধ্যে জানানো সম্ভব নয় আপনি
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া চেক করলে দেখতে পারবেন। ইউটিউব ফেসবুকে দেখতে পারেন যে
অনলাইন ব্যবসা কি।
অনলাইন ব্যবসার মধ্যে বাই স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়াই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা
রয়েছে যেমন ধরুন ইউটিউব মার্কেটিং ফেসবুক মার্কেটিং ব্লগিং ভিডিও এডিটিং ভিডিও
ব্লগিং আর্টিকেল রাইটিং আপ ওয়ার্ক ফাইবার ফিনান্সার পিপুল পার আওয়ার
ইত্যাদি সেক্টর বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মাধ্যমে আপনি ব্যবসা তৈরি করতে পারক।
পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
পৃথিবীতে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি সেটি অনেকেই জানেন না এক কথায় উত্তর
দিতে গেলে বলা যায় অনলাইন ব্যবসা বর্তমান বিশ্ব তথা সব জায়গাতেই অন্যান্য
ব্যবসায় একটি জনপ্রিয় জায়গা দখল করে রয়েছে এই জায়গা থেকে আপনি চাইলে খুব
সহজে ইনকাম জেনারেট করতে পারেন মূল কথাই অনলাইন ব্যবসা পৃথিবীর সবচাইতে বড়
লাভজনক ব্যবসা।
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের লোকজন
কি ধরনের কাজ করে এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের কি ধরনের কাজ করে অবশ্যই দেখবেন
উন্নয়ন দেশগুলো তারা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করে যেমন
ধরুন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্রের বা উন্নয়নশীল দেশে বেশি
রয়েছে।
আপনি যদি দেখেন ইউটিউব ফেসবুক গুগল টিক টক এ সকল ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া গুলো
উন্নয়ন রাষ্ট্রের একটি অবদান তাদের ওই ব্যবসাটি মার্কেটপ্লেসে তাদের উন্নয়নের
পরিণত করেছে আশা করি বুঝতে পারছেন তবে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও প্রভাব বৃদ্ধি
পাচ্ছে যেমন অ্যামাজনের মত বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ আশা করি
বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে কত ধরনের ব্যবসা রয়েছে
বাংলাদেশে অসংখ্য ধরনের ব্যবসা রয়েছে। দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, এবং
মানুষের চাহিদার উপর ভিত্তি করে ব্যবসাগুলো বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। ব্যবসার
ধরনগুলোকে সাধারণভাবে কয়েকটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়ঃকৃষি ও খাদ্য
প্রক্রিয়াকরণঃ ধান, গম, ফল, সবজি চাষ, মাছ চাষ, পশুপালন, খাদ্য
প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি। বস্ত্র ও পাটঃ সুতি, পাট, সিল্কের কাপড় উৎপাদন, তৈরি
পোশাক, পাট পণ্য ইত্যাদি।
চামড়া ও পাদুকাঃ চামড়া প্রক্রিয়াকরণ, জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি। ঔষধঃ বিভিন্ন
ধরনের ওষুধ উৎপাদন।প্রযুক্তিঃ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ
ডেভেলপমেন্ট, হার্ডওয়্যার উৎপাদন ইত্যাদি।সেবা খাতঃ শিক্ষা, স্বাস্থ্য,
পর্যটন, ব্যাংকিং, বীমা, পরিবহন ইত্যাদি। হস্তশিল্পঃ হাতে তৈরি জিনিসপত্র,
কাপড়, গহনা ইত্যাদি। খুচরা ব্যবসাঃ দোকানদারি, মুদি দোকান ইত্যাদি। পাইকারি
ব্যবসাঃ পণ্য পাইকারিভাবে কিনে বিক্রি করা।
ব্যবসার আকারের ভিত্তিতেও শ্রেণিবিন্যাস করা যায়ঃ ছোট ব্যবসাঃ অল্প পুঁজিতে
শুরু করা ব্যবসা, যেমনঃ দোকান, হোম বেকারি, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি। মাঝারি
ব্যবসাঃ মাঝারি পরিমাণে পুঁজি দিয়ে শুরু করা ব্যবসা, যেমন, ছোট কারখানা,
মধ্যম আকারের দোকান ইত্যাদি। বড় ব্যবসাঃ বড় পরিমাণে পুঁজি দিয়ে শুরু করা
ব্যবসা, যেমনঃ বহুজাতিক কোম্পানি, বড় কারখানা ইত্যাদি।
শহরে লাভজনক ব্যবসা
শহরে লাভজনক ব্যবসা শুরু করার জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। তবে, কোন ব্যবসা আপনার
জন্য উপযুক্ত হবে, তা নির্ধারণ করার জন্য আপনাকে নিজের আগ্রহ, দক্ষতা, পুঁজি
এবং বাজারের চাহিদা বিবেচনা করতে হবে।
শহরে কিছু লাভজনক ব্যবসার আইডিয়াঃ ফুড ট্রাকঃ বিভিন্ন ধরনের খাবার দিয়ে
একটি ফুড ট্রাক চালাতে পারেন। ক্যাফেঃ কফি, চা, স্ন্যাকস ইত্যাদি বিক্রি করতে
পারেন। রেস্টুরেন্টঃ বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করতে পারেন। হোম সার্ভিসঃ
বাড়ি পরিষ্কার করা, কাপড় ধোয়া, বাগান করা ইত্যাদি সার্ভিস দিতে
পারেন।
ইভেন্ট প্ল্যানিংঃ বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট আয়োজন করে দিতে পারেন। টিউশনিঃ কোনো
বিষয়ে দক্ষ হলে অন্যদের টিউশনি দিতে পারেন। পরামর্শদাতাঃ আপনার জ্ঞান ও
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অন্যদের পরামর্শ দিতে পারেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ
ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপ করুন। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টঃ মোবাইল অ্যাপ
ডেভেলপ করে বিক্রি করুন অথবা কোম্পানিগুলোকে এই সার্ভিস দিন।
ডাটা এনালিটিক্সঃ ডাটা বিশ্লেষণ করে ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য
করুন। ই-কমার্সঃ নিজস্ব পণ্য বিক্রি করুন অথবা অন্য কোম্পানির পণ্য ড্রপশিপিং
করুন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অন্য কোম্পানির পণ্য বিক্রি করে কমিশন আয়
করুন। কনটেন্ট ক্রিয়েটিংঃ ব্লগিং, ভিডিও বানানো, পডকাস্টিং ইত্যাদির মাধ্যমে
আয় করুন।
গ্রামের লাভজনক ব্যবসা
গ্রামে লাভজনক ব্যবসা শুরু করার অনেক সুযোগ রয়েছে। গ্রামের প্রাকৃতিক সম্পদ,
সহজলভ্য কাঁচামাল এবং সহজলভ্য শ্রমিকের কারণে এখানে অনেক ধরনের ব্যবসা সম্ভব।
আসুন কিছু লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া দেখে নেওয়া যাক
কৃষি ও প্রকৃতিভিত্তিক ব্যবসাঃ বর্তমানে গ্রামীন এলাকা কৃষির উপর
নির্ভরশীল কৃষি তাদের ব্যবসার অংশ চলুন দেখা যাক সবজি চাষঃ বিভিন্ন
ধরনের সবজি চাষ করে স্থানীয় বাজারে বা শহরে বিক্রি করা যেতে পারে। ফল চাষঃ
আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু ইত্যাদি ফল চাষ করে লাভ করা যায়। মৎস্য চাষঃ পুকুরে
মাছ চাষ করে বিক্রি করা যায়।
মুরগির খামারঃ মুরগি পালন করে ডিম ও মাংস বিক্রি করা যায়। দুধের ব্যবসাঃ গরু
বা ছাগল পালন করে দুধ বিক্রি করা যায়। মধু চাষঃ মৌমাছি পালন করে মধু উৎপাদন
করা যায়। জৈব সার উৎপাদনঃ গোবর, পাতা ইত্যাদি থেকে জৈব সার তৈরি করে বিক্রি
করা যায়।
হস্তশিল্প ও কারুকাজঃ হস্তশিল্প কারুকাজ এর মধ্যে যে সকল গ্রামীন ব্যবসা
আইডিয়া আছে তা তুলে ধরা হলো তাঁত বুননঃ হাতে তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি ইত্যাদি
বুনে বিক্রি করা যায়। কাঠের কাজঃ কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, খেলনা
ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করা যায়। মৃৎশিল্পঃ মৃণময় পাত্র, মূর্তি ইত্যাদি
তৈরি করে বিক্রি করা যায়। বাঁশের কাজঃ বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র
তৈরি করে বিক্রি করা যায়।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণঃ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য যে সকল রয়েছে যা গ্রামিন
এলাকায় প্রচলিত এসবের মাধ্যমে গ্রাম্য লোকজন ব্যবসা দাঁড় করাতে পারে আচারঃ
বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করে বিক্রি করা যায়। মুড়ি, চিড়াঃ মুড়ি, চিড়া
ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করা যায়। মধুঃ মৌমাছি পালন করে মধু উৎপাদন করা
যায়। জ্যাম, জেলিঃ ফল দিয়ে জ্যাম, জেলি তৈরি করে বিক্রি করা যায়।
অন্যান্যঃ এছাড়াও গ্রামের লোকজন বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে তাদের
ব্যবসাকে এগিয়ে নেবেন বা যাওয়ার চেষ্টা করছে। মুদি দোকানঃ গ্রামের মানুষের
দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করা। কাপড়ের দোকানঃ স্থানীয়ভাবে
তৈরি কাপড় বিক্রি করা। মোবাইল রিচার্জঃ মোবাইল রিচার্জ এবং অন্যান্য মোবাইল
সার্ভিস দেওয়া। কম্পিউটার সেন্টারঃ কম্পিউটার সম্পর্কিত কাজ করা, ইন্টারনেট
সুবিধা দেওয়া। ট্যুরিজমঃ গ্রামের সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট
করা।
১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ব্যবসা আইডিয়া
১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে অনেক ধরনের ছোট ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। আপনার
আগ্রহ, দক্ষতা এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী একটি উপযুক্ত ব্যবসা বেছে নিতে
পারেন। কিছু লাভজনক আইডিয়া নিম্ন তুলে ধরলাম আপনাদের সুবিধার্থে এ সকল
ব্যবসাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার জীবনকে ব্যবসায়ীক হিসেবে পরিণত করতে
পারেন।
স্ন্যাকস ও পানীয়ের দোকানঃ স্কুল, কলেজ বা অফিসের আশেপাশে ছোট একটি স্ন্যাকস
ও পানীয়ের দোকান খুলতে পারেন। হোম বেকারিঃ কেক, কুকিজ, পেস্ট্রি ইত্যাদি
বানিয়ে স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতে পারেন। ফাস্ট ফুডঃ মোমো, চাট,
পকোড়া ফুচকা চটপটি ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। হাতে তৈরি গহনাঃ বিভিন্ন
ধরনের হাতে তৈরি গহনা বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন।
কাগজের কাজঃ কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
বাঁশের কাজঃ বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
ই-কমার্সঃ সোশ্যাল মিডিয়া বা নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছোটখাটো পণ্য
বিক্রি করতে পারেন। ব্লগিংঃ আপনার জ্ঞান বা দক্ষতা শেয়ার করে আয় করতে
পারেন।
ফ্রিল্যান্সিংঃ আপনার দক্ষতা (লেখালিখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং
ইত্যাদি) ব্যবহার করে অনলাইনে কাজ করে আয় করতে পারেন। টিউশনিঃ কোনো বিষয়ে
দক্ষ হলে অন্যদের টিউশনি দিতে পারেন। মোবাইল রিপেয়ারিংঃ মোবাইল ফোন মেরামত
করে দিতে পারেন। কম্পিউটার সার্ভিসঃ কম্পিউটার সম্পর্কিত কাজ করে দিতে পারেন।
শেষ মন্তব্য
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে আপনারা যারা ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন অবশ্যই ব্যবসা
সম্পর্কে আপনাদের ধারণা রয়েছে তাই আপনারা ব্যবসাকে পছন্দ হিসেবে নিয়েছেন। তবে
ব্যবসার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আপনাদের অনেকেরই ধারণা
নেই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রেখে ব্যবসা শুরু করবেন।
আমি মনে করি বাংলাদেশের সবচাইতে লাভজনক ব্যবসা কোনটি বা কোন ধরনের ব্যবসা
লাভজনক হতে পারে এ সকল বিষয়ে আপনার ধারণা এসে গেছে এই আর্টিকেলটি পড়ে।
নিত্য নতুন ব্যবসায়ী টিপস পেতে অবশ্যই আমার পেজটিতে সাইন আপ করে পাশে থাকবেন
আপনার মতামত অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ব্যবস্থা সম্পর্কে আরো টিপস জানতে
আমাদের সাথে
যোগাযোগ
করু...ধন্যবাদ।
বিঃদ্রঃ ভাষা জনিত ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
আরজে লতিফ ডিএম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url