ব্যবসা হল এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য পণ্য বা সেবা
উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিতরণ করা হয়। মূলত, এটি একটি বিনিময় প্রক্রিয়া যেখানে
একজন ব্যক্তি বা সংস্থা অন্যের কাছে কিছু দিয়ে কিছু পায় তার মাধ্যমে সে
মুনাফা অর্জন করে একটি বিজনেসকে সঠিকভাবে সফলতা সইতে দাড়া করাতে সক্ষম হয়।
এই আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ব্যবসা বলতে কি বুঝায় ব্যবসার
কার্যাবলী কি আমরা অনেকেই কোন কিছু না জেনেই ব্যবসা শুরু করতে যায় এটা দেখা যায়
লাভ এর চেয়ে ব্যবসায় লসের পরিমাণ বেশি হয়। পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন আশা করি
ব্যবসা সম্পর্কে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত এবং ধারণা আসবে।
ব্যবসার আওতা ও পরিধি বুঝতে হলে, আমাদের প্রথমে ব্যবসা কী তা স্পষ্ট করে নিতে
হবে। ব্যবসা হল এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য পণ্য বা
সেবা উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিতরণ করা হয়। কিন্তু এই কার্যকলাপ কতটা বড় হবে,
কতটা ছোট হবে, সেটা নির্ভর করে ব্যবসার আওতা ও পরিধির উপর।
ব্যবসার আওতা হল ব্যবসা কতটা বিস্তৃত, কতগুলি পণ্য বা সেবা এই ব্যবসা দিয়ে
পরিচালিত হয়, সেটা নির্দেশ করে। সহজ কথায়, ব্যবসা কত ধরনের কাজ করে, সেটাই
ব্যবসার আওতা। সীমিতআওতাঃ কোনো ব্যবসা যদি
শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা উৎপাদন বা বিক্রয় করে, তাহলে তার আওতা
সীমিত।
উদাহরণস্বরূপ, একটি ছোট দোকান যা শুধুমাত্র মোবাইল ফোন বিক্রয় করে, তার আওতা
সীমিত।বিস্তৃত আওতাঃ কোনো ব্যবসা যদি একাধিক পণ্য বা সেবা উৎপাদন বা
বিক্রয় করে, তাহলে তার আওতা বিস্তৃত। উদাহরণস্বরূপ, একটি বড় মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানি যা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করে, তার আওতা বিস্তৃত।
ব্যবসার পরিধি কী? ব্যবসার পরিধি হল ব্যবসা কতটা ভৌগোলিক এলাকা জুড়ে কার্যকর,
সেটা নির্দেশ করে। সহজ কথায়, ব্যবসা কতটা বড় এলাকায় কাজ করে, সেটাই ব্যবসার
পরিধি। সীমিতপরিধিঃ কোনো ব্যবসা যদি শুধুমাত্র
একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কাজ করে, তাহলে তার পরিধি সীমিত।
উদাহরণস্বরূপ, একটি ছোট দোকান যা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট শহরে অবস্থিত, তার
পরিধি সীমিত।বিস্তৃত পরিধিঃ কোনো ব্যবসা যদি একাধিক দেশে বা বিশ্বব্যাপী
কাজ করে, তাহলে তার পরিধি বিস্তৃত। উদাহরণস্বরূপ, একটি বড় মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানি যার শাখা বিভিন্ন দেশে রয়েছে, তার পরিধি বিস্তৃত।
ব্যবসার আওতা ও পরিধি পরস্পর সম্পর্কিত। একটি ব্যবসা যখন তার আওতা বাড়ায়,
অর্থাৎ নতুন পণ্য বা সেবা যোগ করে, তখন সে তার পরিধিও বাড়াতে চায়, অর্থাৎ
নতুন বাজারে প্রবেশ করতে চায়। একইভাবে, একটি ব্যবসা যখন তার পরিধি বাড়ায়,
অর্থাৎ নতুন বাজারে প্রবেশ করে, তখন সে তার আওতাও বাড়াতে পারে, অর্থাৎ নতুন
পণ্য বা সেবা তৈরি করতে পারে।
ব্যবসার বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি
ব্যবসা একটি জটিল এবং বহুমুখী প্রক্রিয়া। এটি কেবল পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের
চেয়ে অনেক বেশি। একটি ব্যবসাকে অন্য একটি থেকে আলাদা করে এমন কিছু নির্দিষ্ট
বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আসুন সেই বৈশিষ্ট্যগুলি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-ব্যবসার মূল
বৈশিষ্ট্য লক্ষ্যঃ প্রতিটি ব্যবসার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। সাধারণত, এই
লক্ষ্য হল মুনাফা অর্জন করা। কিন্তু এর পাশাপাশি, একটি ব্যবসা সমাজের উন্নয়ন,
কর্মসংস্থান সৃষ্টি ইত্যাদি লক্ষ্যও নির্ধারণ করতে পারে।
পণ্য বা সেবাঃ একটি ব্যবসা কোন না কোন পণ্য বা সেবা উৎপাদন করে বা বিক্রয় করে।
এই পণ্য বা সেবা গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করে। গ্রাহকঃ ব্যবসার অস্তিত্বের জন্য
গ্রাহকের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। গ্রাহকের চাহিদা বুঝে এবং তা পূরণ করেই
ব্যবসা টিকে থাকে। বাজারঃ ব্যবসা যেখানে তার পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে, সেই
স্থানকে বাজার বলে। বাজারের আকার, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি ব্যবসাকে প্রভাবিত করে।
মুনাফাঃ মুনাফা হল ব্যবসার আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য। মুনাফা ব্যবসার
টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
ঝুঁকিঃ ব্যবসায়ে ঝুঁকি সবসময় থাকে। বাজারের পরিবর্তন, প্রতিযোগিতা, প্রাকৃতিক
দুর্যোগ ইত্যাদি কারণে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সংগঠনঃ একটি ব্যবসাকে
পরিচালনা করার জন্য একটি সংগঠন গঠন করা হয়। এই সংগঠনে বিভিন্ন ধরনের কর্মচারী
থাকে এবং তারা বিভিন্ন কাজ করে। বিনিয়োগঃ ব্যবসা শুরু করার জন্য এবং তা
চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। এই বিনিয়োগ মালিকের নিজস্ব
অর্থ বা ঋণের মাধ্যমে আসতে পারে।
ব্যবসা উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা
ব্যবসা শুধুমাত্র পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের চেয়ে অনেক বেশি। এর পেছনে বিভিন্ন
উদ্দেশ্য লুকিয়ে থাকে। আসুন বিস্তারিত আলোচনা করে দেখি ব্যবসার মূল
উদ্দেশ্যগুলো কী মুনাফা অর্জনঃ সবচেয়ে প্রাথমিক এবং প্রধান উদ্দেশ্য হল
মুনাফা অর্জন করা। ব্যবসার সব কার্যকলাপই মূলত এই লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে
পরিচালিত হয়। মুনাফা ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে, বৃদ্ধি করতে এবং নতুন বিনিয়োগের
জন্য অর্থ জোগাতে সাহায্য করে।
বৃদ্ধিঃ ব্যবসা শুধু টিকে থাকাই নয়, বৃদ্ধিও চায়। বাজারে নতুন পণ্য বা সেবা
যোগ করা, নতুন বাজারে প্রবেশ করা, ব্যবসার আকার বাড়ানো ইত্যাদি বৃদ্ধির
উদাহরণ। বাজারে প্রভাবঃ ব্যবসা চায় তার পণ্য বা সেবা বাজারে প্রভাবশালী হোক।
বাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করা এবং গ্রাহকদের মনে একটি সুদৃঢ় চিত্র
তৈরি করা হল এই উদ্দেশ্যের একটি অংশ।
গ্রাহক সন্তুষ্টিঃ গ্রাহককে সন্তুষ্ট রাখা ব্যবসার দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্তুষ্ট গ্রাহকই ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
কর্মচারী কল্যাণঃ কর্মচারীদের সুখী ও সন্তুষ্ট রাখা ব্যবসার জন্য অত্যন্ত
জরূরি। সন্তুষ্ট কর্মচারী ব্যবসায়ের উন্নতির জন্য কাজ করে। সামাজিক দায়িত্বঃ
অনেক ব্যবসা শুধু মুনাফা নয়, সমাজের উন্নয়নেও অবদান রাখতে চায়।
পরিবেশ সুরক্ষা, সামাজিক কল্যাণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করা হল এই দায়িত্বের
একটি অংশ।নতুন উদ্ভাবনঃ অনেক ব্যবসা নতুন পণ্য বা সেবা উদ্ভাবনের মাধ্যমে
বাজারে নতুনত্ব আনতে চায়। ব্র্যান্ড ইমেজ গড়াঃ একটি সুদৃঢ় ব্র্যান্ড ইমেজ
গড়া ব্যবসার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সফলতার চাবিকাঠি।
ব্যবসা বলতে কি বুঝায় ব্যবসার কার্যাবলী
ব্যবসা হল এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য পণ্য বা সেবা
উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিতরণ করা হয়। মূলত, এটি একটি বিনিময় প্রক্রিয়া যেখানে
একজন ব্যক্তি বা সংস্থা অন্যের কাছে কিছু দিয়ে কিছু পায়। ব্যবসার কার্যাবলী
বলতে ব্যবসায়ীরা যেসব কাজ করে, সেগুলোকে বোঝায়। এই কাজগুলো মূলত মুনাফা
অর্জনের জন্য করা হয়। চলুন ব্যবসা বলতে কি বুঝায় ব্যবসার কার্যাবলী কি আলোচনা
করা যাক।
ব্যবসার মূল কার্যাবলী উৎপাদনঃ প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত কাঁচামালকে মানুষের
ব্যবহার উপযোগী করে তোলা। ক্রয়ঃ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ক্রয়
করা। বিক্রয়ঃ উৎপাদিত পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের কাছে বিক্রয় করা। অর্থসংস্থানঃ
ব্যবসা চালানোর জন্য অর্থ জোগাড় করা। পরিবহনঃ পণ্যকে উৎপাদনস্থল থেকে
বিক্রয়স্থলে পরিবহন করা। গুদামজাতকরণঃ পণ্যকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংরক্ষণ
করা।
বিজ্ঞাপন ও প্রচারঃ পণ্য বা সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের অবহিত করা। হিসাব রক্ষণঃ
ব্যবসায়ের সকল আর্থিক লেনদেনের হিসাব রাখা। কর্মচারী ব্যবস্থাপনাঃ কর্মচারী
নিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং তাদের কাজের তদারকি করা। বাজার গবেষণাঃ গ্রাহকদের চাহিদা
সম্পর্কে জানার জন্য গবেষণা করা। আশা করি ব্যবসা বলতে কি বুঝায় ব্যবসার
কার্যাবলী সম্পর্কে আপনাদের ধারণা এসে গেছে।
ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি
ব্যবসা একক শব্দ হলেও এর আওতা খুবই বিস্তৃত। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবসাকে
বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। আসুন বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে ব্যবসার
প্রকারভেদগুলো আলোচনা করি মালিকানার ভিত্তিতে-একমালিকানা ব্যবসাঃ একজন ব্যক্তি
দ্বারা পরিচালিত ব্যবসা। অংশীদারি ব্যবসাঃ দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে পরিচালিত
ব্যবসা।
কোম্পানিঃ আইনসম্মতভাবে গঠিত একটি ব্যবসায়িক সংস্থা। কার্যকলাপের
ভিত্তিতে-উৎপাদন ব্যবসাঃ পণ্য তৈরি করা। উদাহরণঃ গাড়ি, কাপড়, খাদ্য। বাণিজ্য
ব্যবসাঃ পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা। উদাহরণঃ পাইকারি ব্যবসা, খুচরা ব্যবসা। সেবা
ব্যবসাঃ সেবা প্রদান করা। উদাহরণঃ ব্যাংকিং, পরামর্শদাতা সেবা, ট্যুর অপারেটর।
আকারের ভিত্তিতে-ছোট ব্যবসাঃ স্বল্প পুঁজি এবং কম সংখ্যক কর্মচারী নিয়ে
পরিচালিত ব্যবসা।
মাঝারি ব্যবসাঃ ছোট ব্যবসা এবং বড় ব্যবসার মধ্যবর্তী। বড় ব্যবসাঃ বৃহৎ পুঁজি
এবং অসংখ্য কর্মচারী নিয়ে পরিচালিত ব্যবসা। কাঠামোর ভিত্তিতে-কেন্দ্রীকৃত
কাঠামোঃ সব সিদ্ধান্ত একজন ব্যক্তির হাতেই কেন্দ্রীভূত থাকে। বিকেন্দ্রীকৃত
কাঠামোঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিভিন্ন স্তরে বিতরণ করা হয়।
ব্যবসায়ের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
ব্যবসা শুধুমাত্র মুনাফা অর্জনের একটি মাধ্যম নয়, এটি একটি সমাজের অর্থনৈতিক
চালিকাশক্তি। ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে ব্যবসার গুরুত্ব অপরিসীম। আসুন
বিস্তারিতভাবে দেখে নেওয়া যাক ব্যবসা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয় নিয়ে
আলোচনা করব শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন।
ব্যক্তির জীবনে ব্যবসার গুরুত্বঃ ব্যবসা মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে
সাহায্য করে। ব্যবসা ব্যক্তিকে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেয়।
ব্যবসার মাধ্যমে নতুন পণ্য বা সেবা উদ্ভাবন করা সম্ভব। ব্যবসা ব্যক্তিকে নিজের
স্বপ্ন পূরণের সুযোগ দেয়। সমাজের জীবনে ব্যবসার গুরুত্ব-ব্যবসা একটি দেশের
অর্থনীতিকে গতিশীল করে এবং জিডিপি বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। ব্যবসা সামাজিক
উন্নয়নে অবদান রাখে, যেমনঃ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ সুরক্ষা।
ব্যবসার প্রয়োজনীয়তা-মানুষের চাহিদা পূরণঃ ব্যবসা মানুষের দৈনন্দিন
প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা সরবরাহ করে। ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা পণ্যের মান
উন্নয়ন এবং দাম কমানোতে সাহায্য করে। ব্যবসা নতুন প্রযুক্তি এবং পণ্য
উদ্ভাবনের জন্য উৎসাহিত করে। ব্যবসা মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবসার সুবিধা
প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবসা বা ফ্র্যাঞ্চাইজি একটি জনপ্রিয় ব্যবসায়িক মডেল। এই
মডেলে, একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি (ফ্র্যাঞ্চাইজার) অন্য একজন ব্যক্তি বা
সংস্থাকে (ফ্র্যাঞ্চাইজি) তার ব্র্যান্ড, পণ্য, পরিষেবা এবং ব্যবসায়িক পদ্ধতি
ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি তার নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করে, তবে
ফ্র্যাঞ্চাইজারের নির্দেশনা অনুসরণ করে।
প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবসার সুবিধাঃ প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডঃ ফ্র্যাঞ্চাইজি একটি
প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়, যা গ্রাহকদের আকর্ষণ
করতে সাহায্য করে। ফ্র্যাঞ্চাইজার ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বিপণন, প্রশিক্ষণ, এবং
অন্যান্য ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করে। ফ্র্যাঞ্চাইজি একটি প্রমাণিত ব্যবসায়িক
মডেল অনুসরণ করে, যা ব্যবসা শুরু করার ঝুঁকি কমায়।
কেনাকাটা, বিপণন এবং অন্যান্য কার্যকলাপে ফ্র্যাঞ্চাইজি খরচ সাশ্রয় করতে পারে।
প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজি ঋণ সহজে পেতে
পারে। তবে বর্তমানে ডিজিটালাইজেশন যুগে এ ধরনের ব্যবসা করে বা
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা করে আপনার লাভবান হওয়ার সুবিধাটা অনেক বেশি আশা
করি পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
পেশা হিসেবে ব্যবসায়ের গুরুত্ব
ব্যবসায় শুধুমাত্র মুনাফা অর্জনের একটি মাধ্যম নয়, এটি একটি সমাজের অর্থনৈতিক
চালিকাশক্তি। ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে ব্যবসার গুরুত্ব অপরিসীম। আসুন
বিস্তারিতভাবে দেখে নেওয়া যাক পেশা হিসেবে ব্যবসা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ
ব্যক্তির জীবনে ব্যবসার গুরুত্ব ব্যবসা মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে
সাহায্য করে। ব্যবসা ব্যক্তিকে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেয়।
ব্যবসার মাধ্যমে নতুন পণ্য বা সেবা উদ্ভাবন করা সম্ভব। ব্যবসা ব্যক্তিকে নিজের
স্বপ্ন পূরণের সুযোগ দেয়। সমাজের জীবনে ব্যবসার গুরুত্ব ব্যবসা একটি দেশের
অর্থনীতিকে গতিশীল করে এবং জিডিপি বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। ব্যবসা নতুন
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। ব্যবসা সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে, যেমন
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ সুরক্ষা।
ব্যবসা নতুন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য উৎসাহিত করে। জাতীয় জীবনে
ব্যবসার গুরুত্ব ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত কর এবং অন্যান্য রাজস্ব সরকারকে
জনকল্যাণমূলক কাজ করার সুযোগ দেয়। রপ্তানি ব্যবসা দেশের জন্য বিদেশী মুদ্রা
আয় করে। সফল ব্যবসা একটি দেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে সাহায্য করে।
খরচা ব্যবসায়ের কার্যাবলী
ব্যবসা চালানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন। এই অর্থকেই আমরা ব্যবসায়িক খরচ বলি।
ব্যবসায়িক খরচ বিভিন্ন কারণে হয় এবং এটি ব্যবসার আকার, ধরন এবং পরিচালনার উপর
নির্ভর করে। ব্যবসায়িক খরচের প্রধান কার্যাবলী উৎপাদন খরচঃ পণ্য উৎপাদনের জন্য
প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কেনার খরচ। কর্মচারীদের বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য
সুবিধা।
উৎপাদন সরঞ্জামের মেরামত ও পরিচালনা খরচ,বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদি সরবরাহের
খরচ। কাঁচামাল আনা এবং তৈরি পণ্য পাঠানোর খরচ। পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষকে
জানানোর জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার খরচ। বিক্রয় প্রতিনিধিদের
কমিশন ও বেতন। পণ্যকে আকর্ষণীয়ভাবে প্যাক করার খরচ।
এছাড়া আর অন্যান্য খরচ গুলি তা হল প্রশাসনিক খরচ,অফিস ভাড়া,অফিস সরঞ্জাম
ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ,টেলিফোন, ইন্টারনেট বিল,বিমা খরচ,আইনী খরচ,পরামর্শদাতার
খরচ। এছাড়া আরো অনেক ধরনের খরচ হয়েছে যেগুলো ব্যবসায় আপনাকে বহন করতে হবে
যেমন,ব্যাংক সুদ,কর,ভ্রমণ খরচ,অপ্রত্যাশিত খরচ ইত্যাদি ইত্যাদি।
ব্যবসায়িক খরচের গুরুত্ব ব্যবসায়িক খরচ নির্ধারণ করে কত লাভ হবে। ব্যবসার
জন্য বাজেট তৈরি করতে খরচের একটি সঠিক হিসাব করা প্রয়োজন। নতুন পণ্য চালু করা,
নতুন বাজারে প্রবেশ করা বা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত
নেওয়ার আগে খরচ বিবেচনা করা জরুরি। ব্যবসার কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করার জন্য
খরচের হিসাব করা হয়।
শেষ মন্তব্য
ব্যবসা ধর্মীয় বিধান অনুসারে একটি হালাল ব্যবসা তাই আপনি যে ধরনের ব্যবসা শুরু
করুন না কেন হালাল পন্থায় ব্যবসা করবেন দেখবেন ইনশাআল্লাহ আপনার ব্যবসায়
সফলতা আসবে। আপনি যে ব্যবসা শুরু করেন না কেন বা শুরু করতে যাচ্ছে তার পূর্বে
অবশ্যই বিজনেস আইডিয়া গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করে নিবেন
ব্যবসা বলতে কি বুঝায় ব্যবসার কার্যাবলী এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ব্যবসায়
সফলতা আসে বা ব্যবসা শুরু করার পূর্ব পরিকল্পনা আপনার আর্টিকেলটি পড়ে ব্যবসার
কাজে লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মূল্যবান মতামত জানাবেন নতুন নতুন
টিপস পেতে অবশ্যই পেজটির সাথে থাকবেন। এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য
ধন্যবাদ।
আরজে লতিফ ডিএম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url