নিম পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা
নিম পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা কি? এই সম্পর্কে আপনি জানতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই
পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন এখানে এ টু জেড নিম পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা
সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে যা ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার অনেকটা কাজে দেবে ।
নিম, বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই দেখা যায় এমন একটি পরিচিত গাছ। এর পাতা, ছাল,
বীজ সবই ঔষধি গুণে ভরপুর। বিশেষ করে নিম পাতা, তার অসংখ্য উপকারিতার জন্য আজও
বাড়ির বাইষজ্যের একটি প্রধান উপাদান যা ঘরোয়া পদ্ধতিতে রোগ নিরাময়ে
সহায়তা করে।
পেজ সুচিঃ নিম পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা
- চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা
- চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার
- এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
- নিম পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা
- রূপচর্চায় নিম পাতার গুনাগুন
- স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিমপাতার গুনাগুন
- শিশুদের জন্য নিম পাতার ব্যবহার ও গুনাগুন
- শেষ কথা
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতা তার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণাবলীর জন্য ত্বকের
বিভিন্ন সমস্যা, বিশেষ করে চুলকানি দূর করতে বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে
আসছে। চলুন তার আগে জেনে চুলকানি কেন হয়?ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণের কারণে ত্বক চুলকাতে পারে। কোনো
নির্দিষ্ট পদার্থের প্রতি অ্যালার্জি হলে ত্বক চুলকাতে পারে। শীতকালে বা অন্য
কোনো কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে চুলকানি হতে পারে। মশার কামড়ে ত্বক ফুলে ও
চুলকায়।
এবার জানা যাক নিম পাতা কীভাবে চুলকানি দূর করে? নিম পাতায় থাকা
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান ত্বকের সংক্রমণ দূর করে। নিম
পাতা ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। নিম পাতা ত্বকের pH
লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে। নিম পাতা চুলকানি
দূর করার উপায় নিম পাতা পিষে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগান। নিম পাতা
পিষে রস বের করে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
নিম পাতা দিয়ে চা তৈরি করে পান করলে শরীরের ভেতর থেকেও চুলকানি কমাতে সাহায্য
করে। নিম তেল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করুন। অবশ্যই মনে রাখবেন যদি
চুলকানি বেশি হয় বা দীর্ঘদিন থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।বনিম
পাতা ব্যবহার করার আগে একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করে দেখুন, যাতে কোনো অ্যালার্জি
না হয়। নিম পাতা সবসময় সতেজ ব্যবহার করুন।
নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা
নিম পাতার রস বহু শতাব্দী ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী
একে একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ওষুধে পরিণত করেছে। নিম পাতার রস খাওয়ার বিভিন্ন
উপকারিতা রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক সকল উপকারিতার দিক সমূহ।
স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ নিম পাতার রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য
করে। এটি শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং পরজীবীকে মেরে ফেলতে
সাহায্য করে। নিম পাতার রস রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। নিম পাতার রস অম্বল, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য
ইত্যাদি পাকস্থলীর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
নিম পাতার রস ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন খোস, পাঁচড়া, একজিমা, ব্রণ ইত্যাদি
দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতার রস দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ দূর করে এবং মুখের
দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে। নিম পাতার রস জ্বর এবং ঠান্ডা উপশম করতে সাহায্য
করে। নিম পাতা শুধু খেলে হবে না নিম পাতার রস খাওয়ার উপায় সে সম্বন্ধে আপনাকে
জানতে হবে।
নিম পাতার রস খাওয়ার উপায়ঃ নিম পাতা পিষে রস বের করে সরাসরি খাওয়া যেতে
পারে। তবে স্বাদ তিক্ত হওয়ায় অনেকেই মধু বা লবণ মিশিয়ে খান। নিম পাতা দিয়ে
চা তৈরি করে পান করা যায়। অন্যান্য ফলের জুসের সাথে নিম পাতার রস মিশিয়ে পান
করতে পারেন। আপনি যদি নিয়মাবলী না মেনে নিমপাতা পান করেন তাহলে
আপনার উপকারের চাইতে অপকারিতা বেশি আসবে।
চর্ম রোগে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতা তার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলীর জন্য চর্মরোগের চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধরে
ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন খোস, পাঁচড়া, একজিমা,
ব্রণ, চুলকানি ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে নিম
পাতা চর্ম রোগে উপকার করে।
কীভাবে নিম পাতা চর্মরোগে উপকার করে? নিম পাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং
অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণাবলী ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। নিম পাতার
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং চুলকানি দূর করে। নিম
পাতা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত করে এবং নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে।
নিম পাতা ত্বকের তৈলাক্ততা কমায় এবং ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ করে।
আরও জানুনঃ পানি খাওয়ার নিয়মাবলী সম্পর্কে
চর্মরোগে নিম পাতা ব্যবহারের উপায়ঃ নিম পাতা পিষে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত
স্থানে লাগান। নিম পাতা পিষে রস বের করে আক্রান্ত স্থানে লাগান। নিম পাতা দিয়ে
চা তৈরি করে পান করলে শরীরের ভেতর থেকেও চর্মরোগের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
নিম তেল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করুন। নিম পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন।
বিভিন্ন চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার নিম পাতার পেস্ট বা রস ব্রণের উপর লাগালে
ব্রণের দাগ কমে যায় এবং নতুন ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ করে। নিম পাতার পেস্ট খোস
আক্রান্ত স্থানে লাগালে খোস দ্রুত শুকিয়ে যায়। নিম পাতার রস পাঁচড়া আক্রান্ত
স্থানে লাগালে পাঁচড়া দ্রুত ভাল হয়ে যায়। নিম পাতার পেস্ট একজিমা আক্রান্ত
স্থানে লাগালে চুলকানি এবং লালচে ভাব কমে যায়। নিম পাতার রস চুলকানি দূর করতে
সাহায্য করে।
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতা তার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলীর জন্য ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন এলার্জি,
দূর করতে ব্যবহৃত হয়। তবে, সবসময় মনে রাখবেন যে নিম পাতাও একটি উদ্ভিদ এবং
কিছু মানুষ এর প্রতি অ্যালার্জিক হতে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার কিভাবে করতে হয় বা কেন করব।
কেন এলার্জিতে নিম পাতা ব্যবহার করা হয়? নিম পাতা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য
করে, যা এলার্জির কারণে হয়। এলার্জির ফলে হওয়া চুলকানি কমাতে নিম পাতা
কার্যকর। নিম পাতা ত্বকে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করে।
এলার্জিতে নিম পাতা ব্যবহারের উপায় নিম পাতা পিষে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত
স্থানে লাগান। নিম পাতা পিষে রস বের করে আক্রান্ত স্থানে লাগান। নিম তেল দিয়ে
আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করুন। নিম পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন।
নিয়ম মত কয়েক দিন গোসল করলে দেখবেন এলার্জির জন্য নিম পাতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ
তার প্র্যাকটিক্যাল প্রমাণ।
নিম পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা
নিম পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা অসংখ্য রয়েছে। নিম পাতা তার
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলীর
জন্য ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে বহুকাল ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিম পাতা
দিয়ে গোসল করলে ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার পাওয়া যায়। চলুন দেখে
নেওয়া যাক নিম পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা সমূহ।
নিম পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা নিম পাতা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ যেমন
খোস, পাঁচড়া, একজিমা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। নিম পাতা ত্বকের চুলকানি কমাতে
সাহায্য করে। নিম পাতা ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে ত্বককে শান্ত করে। নিম পাতা ত্বকের
তৈলাক্ততা কমিয়ে ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ করে। নিম পাতা ত্বকের রং উজ্জ্বল করে এবং
ত্বককে সুন্দর করে। নিম পাতা শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। নিম পাতা
চুলের খুশকি এবং চুল পড়া রোধ করে।
আরও জানুনঃ
হোমিও নাকি এলোপ্যাথি কোন চিকিৎসা ভালো
নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপায় গুলো মেনে আপনাকে চলতে হবে যেমন ধরুন একটি
পাত্রে নিম পাতা ফুটিয়ে সেই পানি গোসলের জলে মিশিয়ে নিন। নিম পাতা পিষে পেস্ট
তৈরি করে শরীরে মেখে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিম তেল গোসলের জলে মিশিয়ে
নিন ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ম মেনে আপনি নিমপাতা কাজে লাগাতে পারে আশা করি
বুঝতে পেরেছেন।
রূপচর্চায় নিম পাতার গুনাগুন
নিম পাতা শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বে তার অসাধারণ ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত।
এই ছোট্ট পাতাটি ত্বকের যত্নেও অবিশ্বাস্য ভূমিকা রাখে। আসুন জেনে নিই
রূপচর্চায় নিম পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে এবং ত্বকের জন্য নিম পাতার উপকারিতা ও
রূপচর্চায় নিম পাতার ব্যবহারের উপায় সমূহ সম্পর্কে।
ত্বকের জন্য নিম পাতার উপকারিতাঃ নিম পাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী ব্রণের কারণ হওয়া ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে
এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। নিম পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা কমায় এবং ব্রণ
হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। নিম পাতা ত্বকের ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণ দূর করে, যা খোস
এবং পাঁচড়া সারাতে সাহায্য করে।
নিম পাতা ত্বকের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে এলার্জির কারণে হওয়া
চুলকানি। নিম পাতা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ তৈরি হতে সাহায্য করে,
ফলে ত্বকের রং উজ্জ্বল হয়।নিম পাতা ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করে এবং ব্ল্যাকহেডস
দূর করে। নিম পাতার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী অ্যাকনে এবং রোজাশিয়া দূর
করতে সাহায্য করে।
রূপচর্চায় নিম পাতা ব্যবহারের উপায়ঃ নিম পাতা পিষে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত
স্থানে লাগান। নিম পাতা পিষে রস বের করে তা ত্বকে লাগান। নিম পাতা দিয়ে চা
তৈরি করে পান করলে শরীরের ভেতর থেকেও ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নিম
তেল দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। নিম পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। আশা
করি বুঝতে পেরেছেন।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিমপাতার গুনাগুন
নিম, বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে খুবই পরিচিত একটি গাছ। এর পাতা, ছাল, বীজ,
সবকিছুই ঔষধি গুণে ভরপুর। আয়ুর্বেদে এর ব্যবহার হাজার বছরের পুরনো। চলুন জেনে
নিই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিমপাতার গুণাগুণ ত্বকের জন্য নিম পাতা কতটা
কার্যকরী ও স্বাস্থ্য উপকারিতায় কতটা কাজে লাগে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
নিমপাতা ব্যবহারের উপায়।
ত্বকের জন্য নিমপাতাঃ নিমপাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণের কারণ হওয়া
ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা কমিয়ে ব্রণ হওয়ার
সম্ভাবনা কমায়। ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমণ দূর করে, যা খোস এবং পাঁচড়া সারাতে
সাহায্য করে। বিশেষ করে এলার্জির কারণে হওয়া চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। মৃত
কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ তৈরি হতে সাহায্য করে। ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করে
ব্ল্যাকহেডস দূর করে।
অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে বিভিন্ন
রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রক্তের শর্করা
কমাতে সাহায্য করে। পাকস্থলীর সমস্যা দূর করে অম্বল, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য
ইত্যাদি সমস্যা দূর করে। দাঁত ও মাড়ির সংক্রমণ দূর করে এবং মুখের দুর্গন্ধ
কমাতে সাহায্য করে। জ্বর এবং ঠান্ডা উপশম করতে সাহায্য করে।
আরও জানুনঃ রাজশাহীর উন্নত মানের অত্যাধুনিক ক্লিনিক
নিমপাতা ব্যবহারের উপায়ঃ নিমপাতার পিষে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত
স্থানে লাগান। নিমপাতার রস পিষ বের করে তা ত্বকে লাগান। নিমপাতা দিয়ে চা
তৈরি করে পান করুন। নিম তেল ত্বকে ম্যাসাজ করুন। নিমপাতার দিয়ে গোসল করার
উপায় নিমপাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন
উপায় বা পরামর্শ ক্রমে নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন।
কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে নিমপাতা ব্যবহার করুন কেউ কেউ নিমপাতার প্রতি
অ্যালার্জিক হতে পারেন। তাই ব্যবহারের আগে একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করে দেখুন।
যাদের ত্বক খুব শুষ্ক, তারা নিমপাতা ব্যবহারের পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
করুন। গর্ভবতী ও দুধ খাওয়ানো মহিলাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা
উচিত নয়। মনে রাখবেন নিমপাতা একটি প্রাকৃতিক উপাদান হলেও, কোনো ধরনের
স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শিশুদের জন্য নিম পাতার ব্যবহার ও গুনাগুন
নিম পাতা তার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলীর জন্য বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত
উপকারী। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে নিম পাতা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের
পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শিশুদের জন্য নিম পাতার উপকারিতা খোস, পাঁচড়াঃ নিম পাতার পেস্ট বা রস
খোস, পাঁচড়ার আক্রান্ত স্থানে লাগালে দ্রুত উপশম মিলতে পারে। ব্রণঃ কিশোর
বয়সে হওয়া ব্রণের ক্ষেত্রে নিম পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, শিশুদের
ক্ষেত্রে ব্রণ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মশার কামড়ঃ মশার
কামড়ে ফুলে যাওয়া বা চুলকানি কমাতে নিম পাতার পেস্ট বা রস লাগানো যেতে পারে।
আরও জানুনঃ
শিশুদের শ্বাসকষ্টে প্রাথমিক চিকিৎসা
দাঁত ও মাড়ির সমস্যাঃ নিম দাঁতন বা নিম পাতার ক্বাথ দিয়ে কুলি করলে দাঁত ও
মাড়ির সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। জ্বরঃ হালকা জ্বরে নিম পাতার চা দিয়ে
শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করা যেতে পারে। এছাড়াও নিমপাতা শিশুদের
বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে অনেক সহায়তা করে থাকে তাই বলা যায় নিমপাতা
ব্যবহার শিশুদের জন্য অনেকটাই উপকারী
শিশুদের জন্য নিম পাতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতাঃ অবশ্যই নিম পাতা ব্যবহারের
আগে আপনাকে শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যেমন
অ্যালার্জিঃ সব শিশুই নিম পাতার প্রতি সহনশীল না। ব্যবহারের আগে একটি ছোট অংশে
পরীক্ষা করে দেখুন। অতিরিক্ত ব্যবহারঃ নিম পাতার অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বক শুষ্ক
করে দিতে পারে।
অভ্যন্তরীণ ব্যবহারঃ শিশুদের ক্ষেত্রে নিম পাতার অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে
অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়াঃ যদি শিশু
কোনো ওষুধ সেবন করে, তাহলে নিম পাতা ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ
করুন। আপনার শিশু আপনার অঙ্গ তাই সতর্কতা অবলম্বন করে নিম পাতার ব্যবহার করুন
এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শেষ কথা
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হেকিমি ওষুধ এই নিম পাতা তাই নিম পাতার উপকারিতা যে
কতটা তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। একটি নিম গাছ তথা নিম পাতা অনেক ধরনের উপকারিত
করে থাকে। একটি নিম গাছ এ টু জেড মানুষের উপকারের লাগে যেমন ধরুন
শিকড়ের এক ধরনের কাজ, ছালের এক ধরনের কাজ, কাঠের এক ধরনের কাজ এমনকি পাতারও
বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে নিম পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা যা মানুষের
বিভিন্নভাবে কাজে লাগে এ ধরনের নিত্য নতুন টিপস বা সাজেশন মূলক আর্টিকেল
পেতে অবশ্যই আমার এই পেজটি সাইন আপ করে পাশে থাকুন কমেন্ট করে আপনার মূল্যবান
মতামত জানান। আপনার পরামর্শ দানে এবং আরো জানার জন্য আমাদের সাথে
যোগাযোগ করুন ।
ধন্যবাদ । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
বিঃদ্রঃ ভাষা জনিত ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন!
আরজে লতিফ ডিএম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url