হোমিওপ্যাথি নাকি এলোপ্যাথি কোন চিকিৎসা বেশি কার্যকর
Rj Latif 💲✔💲
৪ নভে, ২০২৪
হোমিওপ্যাথি নাকি এলোপ্যাথি কোন চিকিৎসা বেশি কার্যকর আজকে আমি আপনাদের স্টেপ বাই
স্টেপ বুঝাবো আসলে কোন চিকিৎসা সবচাইতে বেশি ভালো। বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনেকেই
নানান অসুখ- বিসুখে ভুগছেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন কোন চিকিৎসা সবচাইতে ভালো
অনেকে জানেন আবার অনেকে জানেন না।
হোমিওপ্যাথি একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা আর বর্তমানে এলোপ্যাথি ডিজিটালাইজেশন
চিকিৎসা। আমরা অনেকেই সঠিক চিকিৎসা বা দিকনির্দেশনার অভাবে বা ভুলে অনেক ধরনের
চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকি। তাই বলবো পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন কোন
চিকিৎসা আপনার জন্য ভালো হবে সেটি আপনি নিজেই ঠিক করতে পারবেন।
পেজ সূচিঃ হোমিওপ্যাথি নাকি এলোপ্যাথি কোন চিকিৎসা বেশি কার্যকর
হোমিওপ্যাথি হল একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে রোগের চিকিৎসার জন্য খুব
ক্ষুদ্র মাত্রায় প্রাকৃতিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এই পদার্থগুলোকে
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বলা হয়। হোমিওপ্যাথির মূল ধারণা হল, সমান দিয়ে সমানকে
নিরাময় করা। অর্থাৎ, যে কোনো রোগের লক্ষণকে প্রতিরোধ করার জন্য, সেই রোগের মতো
লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে এমন একটি পদার্থকে খুব ক্ষুদ্র মাত্রায় দেওয়া হয়।
হোমিওপ্যাথির কার্যাবলীঃ হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ে
ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলো সাধারণত পানি বা অ্যালকোহলে
অনেকবার পাতন করে তৈরি করা হয়, যার ফলে ওষুধে মূল পদার্থের অণু থাকে কিনা তা
নিয়ে প্রশ্ন উঠে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শরীরের নিজস্ব সুস্থ করার ক্ষমতাকে
উদ্দীপিত করে।
হোমিওপ্যাথি শুধু রোগের লক্ষণ নয়, রোগীকে সমগ্র একজন ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা
করে হোমিওপ্যাথি রোগের মূল কারণের চিকিৎসা করে এবং দীর্ঘস্থায়ী উপকার দেয়।
হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা সমর্থন করার জন্য পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
হোমিওপ্যাথির সফলতা অনেক সময় প্লাসিবো প্রভাবের কারণে হয়। নিয়ন্ত্রিত
গবেষণায় হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্লাসিবো থেকে ভালো ফলাফল দেখায়নি।
এলোপ্যাথি চিকিৎসা কি? এর কার্যাবলী
এলোপ্যাথি হল আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির একটি প্রধান শাখা। একে পশ্চিমা চিকিৎসা বা
রোগের লক্ষণ দূর করার চিকিৎসাও বলা হয়। এটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয়
ও চিকিৎসা করে। এলোপ্যাথির কার্যাবলী বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যেমন
রক্ত পরীক্ষা, ইমেজিং পরীক্ষা, বায়োপসি ইত্যাদি করে রোগ নির্ণয় করা হয়।
রোগের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধগুলো রোগের
লক্ষণ দূর করতে, রোগের প্রক্রিয়া থামাতে বা রোগের কারণ দূর করতে সাহায্য করে।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শারীরিক অস্ত্রোপচার করা হয়। রেডিয়েশন থেরাপি,
কিমোথেরাপি ইত্যাদি চিকিৎসাও এলোপ্যাথির অন্তর্ভুক্ত। এলোপ্যাথির সুবিধা অনেক
ক্ষেত্রে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা দ্রুত ফলাফল দেয়। এটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে
প্রমাণিত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি।
এলোপ্যাথি চিকিৎসা সারা বিশ্বে সহজলভ্য।জটিল রোগের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকর।
এলোপ্যাথির অসুবিধা অনেক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
এলোপ্যাথি অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির তুলনায় খরচবহুল হতে পারে। কোনো রোগের
চিকিৎসার ক্ষেত্রে একজন যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি। এলোপ্যাথি হলেও
অন্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একজন চিকিৎসকের
সাথে পরামর্শ করে নিন।
হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথির মধ্যে পার্থক্য
হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি, এই দুটি চিকিৎসা পদ্ধতিই রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত
হয়, তবে তাদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। আসুন তাদের মধ্যে কিছু প্রধান
পার্থক্য জেনে নিই। হোমিওপ্যাথিঃ "সমান দিয়ে সমানকে নিরাময় করা" এই মূল
ধারণার উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ, যে কোনো রোগের লক্ষণকে প্রতিরোধ করার জন্য, সেই
রোগের মতো লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে এমন একটি পদার্থকে খুব ক্ষুদ্র মাত্রায়
দেওয়া হয়।
রোগের লক্ষণের বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করা হয়।
যেমন, জ্বর কমাতে জ্বর নিরোধক ওষুধ দেওয়া হয়। প্রাকৃতিক পদার্থকে পাতন করে
খুব ক্ষুদ্র মাত্রায় ওষুধ তৈরি করা হয়। রাসায়নিক পদার্থ বা প্রাকৃতিক
পদার্থকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওষুধ তৈরি করা হয়। রোগীর দৃষ্টিভঙ্গ
হোমিওপ্যাথি: রোগীকে সমগ্র একজন ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করে চিকিৎসা করা হয়।
এলোপ্যাথি: সাধারণত রোগের লক্ষণকে কেন্দ্র করে চিকিৎসা করা হয়।
চিকিৎসার সময়কাল হোমিওপ্যাথিঃ দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসায় আরো কার্যকরী বলে
মনে করা হয়। এলোপ্যাথিঃ তীব্র রোগের ক্ষেত্রে দ্রুত ফলাফল দেয়। চলুন
একটি টেবিলের মাধ্যমে জানিয়ে নেওয়া যাক কোন চিকিৎসা বেশি কার্যকর
সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু টিপস একটি টেবিল আকারে তুলে ধরা হলোঃ
বৈশিষ্ট্য
হোমিওপ্যাথি
এলোপ্যাথি
মূল ধারণা
সমান দিয়ে সমানকে নিরাময় করা
রোগের লক্ষণের বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা
ওষুধের তৈরি
প্রাকৃতিক পদার্থকে পাতন করে
রাসায়নিক বা প্রাকৃতিক পদার্থকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়
রোগীর দৃষ্টিভঙ্গি
সমগ্র ব্যক্তি
রোগের লক্ষণ
চিকিৎসার সময়কাল
দীর্ঘস্থায়ী
তীব্র
বৈজ্ঞানিক প্রমাণ
সীমিত
পর্যাপ্ত
আশা করি টেবিলের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পেরেছেন কার্যকর বা এর পার্থক্য কি এ সকল
বিষয়ে আপনার ধারণা এসে গেছে।হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি দুটিই ভিন্ন ভিন্ন
চিকিৎসা পদ্ধতি। কোন পদ্ধতি আপনার জন্য উপযুক্ত, তা নির্ধারণ করার জন্য একজন
যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন কোনো গুরুতর অসুখের ক্ষেত্রে, সর্বদা
প্রথমে একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হোমিওপ্যাথি নাকি এলোপ্যাথি কোন চিকিৎসা বেশি কার্যকর
হোমিওপ্যাথি নাকি এলোপ্যাথি কোন চিকিৎসা বেশি কার্যকর এই পদ্ধতি নিয়ে বহু বছর
ধরে বিতর্ক চলে আসছে। কোনটি বেশি কার্যকর, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সহজ নয়।
কারণ, দুটি পদ্ধতিরই নিজস্ব সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে এবং কোন পদ্ধতি কারো জন্য
বেশি উপযুক্ত হবে তা নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপর।
হোমিওপ্যাথি
সুবিধাঃ
সাধারণত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়।
রোগীকে সমগ্র একজন ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করে চিকিৎসা করা হয়।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে।
অসুবিধাঃ
বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাব।
চিকিৎসা প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় নিতে পারে।
সব ধরনের রোগের জন্য কার্যকর নাও হতে পারে।
এলোপ্যাথি
সুবিধাঃ
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে প্রমাণিত।
তীব্র রোগের ক্ষেত্রে দ্রুত ফলাফল দেয়।
সহজলভ্য এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
অসুবিধাঃ
অনেক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
কিছু ওষুধের প্রতি আসক্তি হতে পারে।
খরচবহুল হতে পারে।
কোনটি বেছে নেবেন?
রোগের ধরনঃ তীব্র রোগের ক্ষেত্রে এলোপ্যাথি, আর
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি বেশি উপযুক্ত হতে পারে।
ব্যক্তিগত পছন্দঃ আপনার নিজের বিশ্বাস এবং পছন্দ
অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচন করতে পারেন।
চিকিৎসকের পরামর্শঃ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল একজন
যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। তিনি আপনার রোগের ইতিহাস, লক্ষণ এবং
অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে আপনার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে
পারবেন।
মনে রাখবেনঃ
কোনো একটি চিকিৎসা পদ্ধতি সব সময় সবার জন্য কার্যকর হয় না।
কোনো গুরুতর অসুখের ক্ষেত্রে, সর্বদা প্রথমে একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ
নিন।
হোমিওপ্যাথি এবং এলোপ্যাথি, দুটিই ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি এবং দুটিরই
নিজস্ব সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।
হোমিওপ্যাথি নাকি এলোপ্যাথি কোন চিকিৎসা বেশি কার্যকর এই প্রশ্নের উত্তর এক
কথায় দেওয়া সম্ভব নয়। আপনার জন্য কোনটি উপযুক্ত, তা নির্ধারণ করার জন্য একজন
যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।
হোমিও ও এলোপ্যাথি একসাথে খাওয়া যাবে কিনা
হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি একসাথে খাওয়ার বিষয়ে অনেকের মধ্যে দ্বিধা থাকে।
সাধারণত, এ দুটি চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত
গবেষণা হয়ে ওঠেনি। তাই, একসাথে খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা
জরুরি
একসাথে খাওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়ঃ ওষুধের ধরনঃ কি ধরনের হোমিওপ্যাথিক ও
এলোপ্যাথিক ওষুধ আপনি খাচ্ছেন, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ওষুধের মধ্যে
পারস্পরিক ক্রিয়া হতে পারে যা ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে বা নতুন
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ওষুধের ডোজও একটি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়।
খুব কম মাত্রায় হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সাথে এলোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়া সাধারণত
সমস্যা সৃষ্টি করে না। তবে, উচ্চ মাত্রায় হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে
এটি বিবেচনা করা উচিত চিকিৎসকের পরামর্শঃ সবচেয়ে ভালো হবে, আপনি যদি
হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি দুই ধরনের ওষুধই খাচ্ছেন, তাহলে আপনার চিকিৎসককে
জানান। তিনি আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।
দুই ধরনের ওষুধ একসাথে খাওয়ার ফলে নতুন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে, এটি আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি
একসাথে খাওয়ার আগে আপনার চিকিৎসকের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করুন। তিনি আপনার
স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং আপনি যে ওষুধগুলো খাচ্ছেন, সেগুলো বিবেচনা করে আপনাকে
সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।
ভেরি কোসিল এর জন্য হোমিও চিকিৎসা ভালো নাকি সার্জারি ভালো
ভেরি কোসিল এর জন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতি বেশি ভালো, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার
জন্য বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা জরুরি। হোমিওপ্যাথি এবং সার্জারি দুটিই ভিন্ন
ভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি এবং দুটিরই নিজস্ব সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। সুবিধাঃ
সাধারণত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়। রোগীকে সমগ্র একজন ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা
করে চিকিৎসা করা হয়। দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলোর জন্য কার্যকর হতে পারে।
অসুবিধাঃ বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাব। চিকিৎসা প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় নিতে পারে।
সব ধরনের ভেরি কোসিলের জন্য কার্যকর নাও হতে পারে।
সার্জারিঃ সুবিধাঃ দ্রুত ফলাফল দেয়। ভেরি কোসিলের কারণ দূর করতে
সাহায্য করে। অসুবিধাঃ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি
থাকে। কোনটি বেছে নেবেন? ভেরি কোসিলের ধরনঃ ভেরি কোসিলের ধরন এবং এর তীব্রতা
অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচন করা হয়।
রোগীর স্বাস্থ্যঃ রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য, বয়স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য
সমস্যা বিবেচনা করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শঃ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল একজন
যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। তিনি আপনার ভেরি কোসিলের ইতিহাস, লক্ষণ এবং
অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে আপনার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে
পারবেন। মনে রাখবেনঃ ভেরি কোসিল একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে। নিজে থেকে কোনো
চিকিৎসা শুরু করা উচিত নয়।
সবচেয়ে ভালো হবে, আপনি যদি ভেরি কোসিলের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভেরি কোসিলের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি বেশি ভালো,
এই প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেওয়া সম্ভব নয়। আপনার জন্য কোনটি উপযুক্ত, তা
নির্ধারণ করার জন্য একজন যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং বিভিন্ন কারণ বিবেচনা
করে সিদ্ধান্ত নিন।
বাচ্চাদের হোমিও চিকিৎসা
বাচ্চাদের হোমিও চিকিৎসা একটি জনপ্রিয় বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে শিশুদের
বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য খুব ক্ষুদ্র মাত্রায় প্রাকৃতিক পদার্থ ব্যবহার
করা হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিটির মূল ধারণা হল, "সমান দিয়ে সমানকে নিরাময় করা"।
অর্থাৎ, যে কোনো রোগের লক্ষণকে প্রতিরোধ করার জন্য, সেই রোগের মতো লক্ষণ সৃষ্টি
করতে পারে এমন একটি পদার্থকে খুব ক্ষুদ্র মাত্রায় দেওয়া হয়।
বাচ্চাদের জন্য হোমিওপ্যাথির সুবিধা সাধারণত হোমিওপ্যাথিক ওষুধের
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব কম হয়।শরীরের হোমিওপ্যাথি শরীরের নিজস্ব
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা যেমন অ্যালার্জি,
আস্থমা ইত্যাদির চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি কার্যকর হতে পারে। হোমিওপ্যাথি শুধু
রোগের লক্ষণ নয়, শিশুর সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়।
বাচ্চাদের জন্য হোমিওপ্যাথির অসুবিধা হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক
সম্প্রদায়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে এবং পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া
যায়নি। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রক্রিয়া এলোপ্যাথির তুলনায় দীর্ঘ সময় নিতে
পারে। সব ধরনের রোগের জন্য কার্যকর নাও হতে পারে: সব ধরনের রোগের জন্য
হোমিওপ্যাথি কার্যকর নাও হতে পারে।
আধুনিক প্যাথলজি চিকিৎসা
আধুনিক চিকিৎসায় রোগ নির্ণয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল প্যাথলজি।
প্যাথলজি হল রোগের কারণ, প্রকৃতি এবং অগ্রগতি নিয়ে অধ্যয়ন। এই বিজ্ঞান শাখায়
রোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা
করা হয়। এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে রোগের ধরন নির্ণয় করা হয় এবং চিকিৎসার
পরিকল্পনা করা হয়।
প্যাথলজি কেন গুরুত্বপূর্ণ? প্যাথলজি রোগের সঠিক নির্ণয়ের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। এটি অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফলের সাথে মিলিয়ে চিকিৎসককে রোগের
সঠিক চিত্র উপস্থাপন করে। রোগের ধরন নির্ণয়ের পর প্যাথলজি রিপোর্টের ভিত্তিতে
চিকিৎসকরা চিকিৎসার পরিকল্পনা করেন। চিকিৎসার সময় রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ
করতে এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে প্যাথলজি পরীক্ষা করা হয়।
প্যাথলজি চিকিৎসা একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা বর্তমান ডিজিটাল যুগে এই চিকিৎসার
গুরুত্ব অনেক বেশি এই চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ের
সহায়তা পেয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা টেস্টের মাধ্যমে তারা জানতে
পারে তাদের বিভিন্ন অসুখের মাধ্যম। যদি ওই চিকিৎসার খরচ আরেকটা বেশি আসে কিন্তু
সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের ক্লিনিক রয়েছে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে এ সকল জায়গায়
তারা স্বল্প সময়ে দ্রুততার সহিত অসুখ নির্ধারণ করতে পারে। তাই আমরা এক কথাই বলতে
পারি প্যাথলজি চিকিৎসা দ্রুত এবং বাহিক চিকিৎসা বা বৈজ্ঞানিক
চিকিৎসাও বলা যেতে পারে। বৈজ্ঞানিকদের তথ্যপ্রযুক্তির আবিষ্কারই আজ এই প্যাথলজি
চিকিৎসা কে দ্রুততার সহিত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
শেষ কথা
"বাংলাদেশে অত্যাধুনিক হোমিও প্যাথলজি চিকিৎসা" এই বাক্যটি আসলে একটি ভুল ধারণা।
কেননা, হোমিওপ্যাথি এবং প্যাথলজি এই দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।প্যাথলজি একটি
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি যা রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, হোমিওপ্যাথি
একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি যার কার্যকারিতা নিয়ে বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ে ব্যাপক
বিতর্ক রয়েছে।
পরিশেষে আমি বলতে চাই যে হোমিওপ্যাথি নাকি এলোপ্যাথি কোন চিকিৎসা বেশি
কার্যকর উপরোক্ত বিষয় থেকে এই ধারণা আপনার সম্পূর্ণ এসে গেছে। লেখাটি আপনার
পড়ে ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই আমার পেজটিতে সাইন আপ করে পাশে থাকুন আর কমেন্টে আপনার
মূল্যবান মতামত জানান। আর ও তথ্য জানার জন্য আমাদের সাথে
যোগাযোগ
করুন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
বি দ্রঃ ভাষা জনিত ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন?
আরজে লতিফ ডিএম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url